রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ হেরোইন, ফেনসিডিল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে জেলা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে।
আটক ‘মাদক সম্রাট’ জিয়ারুল ইসলাম গোদাগাড়ী পৌর এলাকার কসাইপাড়া আচুয়াভাটা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সোমবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন ব্রিফিংয়ে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা ও গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে জিয়ারুল ইসলামের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ে জিয়ারুলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের কাছে তথ্য ছিলো বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ওই বাসায় মজুদ আছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে ব্যাপক তল্লাশি চালায়।
তল্লাশির এক পর্যায়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় একটি সিন্দুক পায় পুলিশ। ওই সিন্দুকের চাবি চাওয়া হলেও জিয়ারুল চাবি দেননি। পরে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে তারা দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে সেটি ভেঙে ভেতরে রাখা ৭ কেজি হেরোইন, ১৮ বোতল ফেনসিডিল, ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা হেরোইনের মূল্য আনুমানিক সাড়ে সাত কোটি টাকা এবং স্বর্ণালংকারের মূল্য প্রায় বিশ লাখ টাকা। সে হিসাবে উদ্ধারকৃত মোট মালামালের মূল্য ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
পুলিশ সুপার আরও জানান, জিয়ারুল পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি। তার নামে আগের একটি মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। মাদকের কারবার করে জিয়ারুল ও তার সহযোগীরা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়ারুল পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি একটি বড় চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনের কারবার করে আসছেন। তারা সীমান্ত থেকে বাহকের মাধ্যমে হেরোইন এনে বাড়িতে মজুদ করেন। আর সুবিধামতো সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করেন।
গ্রেপ্তারের পর জিয়ারুল যেসব তথ্য দিয়েছেন সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।