বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি নিয়ে নীরবতা প্রমাণ করে এটা বিএনপির বক্তব্য: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৮ জুন, ২০২৩ ১৯:০৭

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন। এরপর সিরাজগঞ্জে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একই ধরনের হুমকি দিয়েছেন। বিএনপি ভেতরে ভেতরে যে ষড়যন্ত্র করছে, এসব তারই বহিঃপ্রকাশ।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিরাজগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দেয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে এটা তাদেরই বক্তব্য।

সচিবালয়ে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন। এরপর সিরাজগঞ্জে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একই ধরনের হুমকি দিয়েছেন। বিএনপি ভেতরে ভেতরে যে ষড়যন্ত্র করছে, এসব তারই বহিঃপ্রকাশ।’

তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বাধীনতাবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক অপশক্তি মিলে বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। আজও বিএনপিসহ যে রাজনৈতিক অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

‘পরপর তিনবার জনগণের রায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিলো আজ বিএনপিও যে সে হাঁটছে, দলটির নেতাদের এসব বক্তব্যে তারই প্রকাশ ঘটছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দুটি ষড়যন্ত্র নিয়ে এগুচ্ছে। একটি হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এলিমিনেট’ করা, আরেকটি হচ্ছে দেশে একটি অস্বাভাবিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে দেশটাকে অপশক্তির হাতে তুলে দেয়া।

‘কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটি হতে দেবে না। সিরাজগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া বিএনপিরই উচিত ছিলো। সেটি না করে বরং তার পক্ষ অবলম্বন করে বিএনপি স্বীকার করে নিয়েছে এটি তাদেরই বক্তব্য।’

বিএনপি মহাসচিবের ক্রমাগতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সংক্রান্ত প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে তত্ত্বাবধায়ক রোগে পেয়ে বসেছে। সংবিধান অনুযায়ী চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

‘অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও তাই হবে। সংবিধানের কোনো ব্যত্যয় হবে না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটা আন্তর্জাতিকভাবে কারও সমর্থন পায়নি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের এই দাবিকে সমর্থন করেনি। এটা শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবের মুখের মধ্যেই আছে। আশা করি তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার রোগ থেকে মুক্তিলাভ করবেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে চীনের মন্তব্য বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বিমুখী অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে আমরা বিভিন্ন সময় দেখি। এ ক্ষেত্রেও চীন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে মন্তব্য করেছে, আমরা সেটা পর্যবেক্ষণ করছি।

‘দু’দেশেরই অত্যন্ত আমাদের চমৎকার সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, গত ৫১ বছরে আমাদের পথচলায় দেশটির বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

‘একইসঙ্গে চীনও আমাদের উন্নয়ন সহযোগী এবং এ দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। সুতরাং সব দেশের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক।’

তথ্যমন্ত্রী রোববার সকালে চট্টগ্রামের জামালখান মোড়ে প্রতিকৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: নিউজবাংলা

জামালখানে ভাংচুরের দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারেন না

তথ্যমন্ত্রী এর আগে সকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জামালখান মোড়ে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশের সময় বঙ্গবন্ধু এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরদের প্রতিকৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাদের হাতে বাংলাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ হতে পারে না। সেই বিএনপি নাকি আবার দেশ পরিচালনার কথা স্বপ্ন দেখে!’

মন্ত্রী বলেন, ‘জামালখান মোড়ে ভাংচুরের এই ঘটনার দায় বিএনপির নেতারা কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। জড়িতদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

‘তবে যারা তাদের নেতা, যারা তরুণদেরকে এ ধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে এবং এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা দায় এড়াতে পারেন না। তাদেরকেও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। অনন্য এই প্রতিকৃতি ও ছবিগুলো আবার আগের মতো দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি ও পুনঃস্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানিয়েছেন।’

আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশসহ দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর