জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও একজনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ২৮ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম রাকিবিল্লাহ্ রাকিব। তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি উপজেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক।
শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুলের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব কথা জানানো হয়।
সে সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না— মর্মে আগামী ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃত রাকিবিল্লাহ্ নাদিম হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামী। তিনি বকশীগঞ্জ নামাপাড়া গ্রামের মৃত ননি মিয়ার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার রাতে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে এবং তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতকে শনিবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গোলাম রাব্বানী নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। তিনি জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত বুধবার রাত ১০টার দিকে নাদিমের ওপর হামলা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুকে দায়ী করে সাংবাদিকের পরিবার।
শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বকশীগঞ্জ থানায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে বাবু চেয়ারম্যানকে প্রধান করে আসামী করে ২২ জনসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যানকে অপর দুই সহযোগীসহ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আজ ভোরে আটক করে র্যাব।
পরে জামালপুরে বিকেল সোয়া ছয়টার দিকে নাদিম হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।