বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের তালিকা করে ঘর-বাড়ি চিহ্নিত করতে হবে’

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ১৭ জুন, ২০২৩ ২২:৩৫

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে একটা আঘাত হেনেছে, কাল যদি ওই যুবদল নেতার বাড়িতে একটা লাল মার্ক দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে পরবর্তীতে ভুলেও তারা এ কাজ করবে না। সমস্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঠিকানা অনুযায়ী চিহ্নিত করতে হবে।’

চট্টগ্রাম মহানগরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের ঘর-বাড়ি চিহ্নিত করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শনিবার নগরীর হোটেল সৈকতে ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নেতাকর্মীদের প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে আমি আহ্বান জানাই, আসুন এই কোরবানির ঈদের মধ্যেই চট্টগ্রাম মহানগরে বিএনপি, বিএনপির সমস্ত অঙ্গসমূহ- যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অন্যান্য যা আছে, এদের সব নেতা-কর্মীদের একটা তালিকা আমরা অবশ্যই যেন ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগ্রহ করি। সংগ্রহ করে সকল নেতাকর্মীর ঘর কোথায় আছে চিহ্নিত করি।

‘আজকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে একটা আঘাত হেনেছে, কাল যদি ওই যুবদল নেতার বাড়িতে একটা লাল মার্ক দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে পরবর্তীতে ভুলেও তারা এ কাজ করবে না। সমস্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঠিকানা অনুযায়ী চিহ্নিত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা আছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আছেন, ঠিকানা অনুযায়ী চিহ্নিত করে স্থানীয়ভাবে আসুন আমরা প্রতিরোধ কমিটি করে তাদের ঘরবাড়ি কোথায় আছে চিহ্নিত করি।

‘চিহ্নিত করে প্রয়োজনে লাল মার্ক দিয়ে দেব, এইখানে থাকে বিএনপির একজন কর্মী বা নেতা, যারা হিংসাত্মক কাজ করতে পারে। আর যখন করবে তখন আমরা সামাজিকভাবে তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারব।’

একটি ইটের জবাবে বিএনপিকে ১০টি পাটকেল খেতে হবে জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘ইটটি মারলে ১০টি পাটকেল কিন্তু খেতে হবে। এরা নৃশংস এবং হিংস্র; পেট্রোল বোমা মেরে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, দ্বিতীয়বারও চিন্তা করেনি।

‘আওয়ামী লীগও আন্দোলন করেছে, কিন্তু পরিকল্পিতভাবে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মানুষ মারার রাজনীতি আওয়ামী লীগ কখনো করেনি। আওয়ামী লীগ অসহযোগ আন্দোলন করেছে, সরকারের পতন ঘটিয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনো পেট্রোল ঢেলে দিয়ে মানুষকে পুড়ে মরতে দেখার রাজনীতি করেনি। সংঘাত সংগ্রামে মানুষ মারা গেছে, কিন্তু ক্ষমতায় এসে পরিকল্পিতভাবে শত শত মানুষকে দেশ ছাড়া করার রাজনীতি আওয়ামী লীগ কখনো করেনি।’

ওয়াশিংটন থেকে যুক্তরাষ্ট্র মাতুব্বরি করলেও বাংলাদেশে আসবে না উল্লেখ করে নওফেল বলেন, ‘এখন আমাদের হাতে ভালো অস্ত্র আছে। আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র মানুষ। আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিএনপি ধরণা দিচ্ছে। তারা খুব ভালো করেই জানে, যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার বাংলাদেশে এসে কোনো মাতুব্বরি করবে না। ওয়াশিংটনে বসে বসে ভিসা দিব না, হেন দিব না, তেন দিব না- এমন বহু কথা বলতে পারে। বাংলাদেশে এসে মাতুব্বরি তারা জীবনেও করবে না৷ তাদের স্বার্থ আছে, স্বার্থ অনুযায়ী যা পাবে, তারপর তারা কিন্তু চুপ হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি ঠেকানোর জন্য তারা অনেক চেষ্টা করেছে। তারা তুরস্কের রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে চিঠি লিখিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার কারো কথা শোনেনি। মতিউর রহমান নিজামী সাহেব থেকে শুরু করে যারা যুদ্ধপরাধ করেছে, তাদের সবাইকে কিন্তু ঝুলিয়েছে; শেখ হাসিনার সরকার অনেক কঠিন। ভিসা দেবে না বলে ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কখনোই নিবৃত্ত করতে পারবে না৷ আমরা সরকারি বাহিনী মাধ্যমে ক্ষমতায় আসিনি; আমাদের সংগঠন অনেক মজবুত, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে৷’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে উপমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সাংগঠনিক কাজে আমরা বেশ শক্তিশালী, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। মোটামুটি অভিযোগ থাকে, দুর্বলতা আছে, অনেক কিছু আছে৷ কিন্তু পরবর্তী বৃহত্তরভাবে বিএনপির সাথে তুলনা করতে গেলে আমরা কিন্তু সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী।

‘একটা বিষয় আমাদের মাথায় রাখা প্রয়োজন, সংগঠনের তো অবশ্যই ভোট আছে৷ কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষের কাছে প্রচারণার জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এই আত্মসমালোচনাটা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।’

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, যুবলীগ মহানগরের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. শওকত হোসেন, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, রুহুল আমিন তপন, নীলু নাগ, ইউনিট আওয়ামী লীগের নুরুল কবির, জয়নাল আবেদীন, ফজল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে রুহুল আমিন তপনকে নতুন কমিটির সভাপতি, মো. ইব্রাহিমকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর