জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে মাহবুবুল আলম বাবুকে।
একই সঙ্গে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা জানাতে ৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে।
শুক্রবার গভীর রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব কথা জানানো হয়।
গোলাম রাব্বানী নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। তিনি জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত বুধবার রাত ১০টার দিকে নাদিমের ওপর হামলা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুকে দায়ী করে সাংবাদিকের পরিবার।
নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম বৃহস্পতিবার বলেন, ‘সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর নারী কেলেঙ্কারির সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন নাদিমের ওপর হামলা চালায়। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আমার স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িত মাহমুদুল আলম বাবু ও তার সহযোগীদের ফাঁসি চাই।’
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিক নাদিমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তার আগেই নাদিমের ওপর হামলার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ চারজনকে আটক করে। এরপর আরও দুজনকে আটক করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যান বাবু।