বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৈদ্যুতিক তারে জড়ানো যুবকের মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

  • প্রতিনিধি, নরসিংদী   
  • ১৬ জুন, ২০২৩ ১৭:১৭

নরসিংদী মডেল থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, ‘নিহতের শরীর দেখে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পর্শেই মৃত্যু হয়েছে তার। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।’

নরসিংদীতে হৃদয় মিয়া নামে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বৈদ্যুতিক তারে জড়ানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হলেও পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে তাকে হত্যা করে তারে জড়িয়ে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।

২৪ বছর বয়সী নিহত হৃদয় মিয়া পৌর শহরের কাউরিয়াপাড়া মহল্লার মৃত তোফাজ্জল মিয়ার ছেলে।

নিহতের ছোট ভাই ২১ বছর বয়সী সুজন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চার ভাই-বোন। একমাত্র বোনকে বিয়ে দিয়েছি। শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছি। মিশুক (অটোরিকশা) চালিয়ে আমরা তিন ভাই জীবিকা নির্বাহ করি। সকালে খবর পেয়ে আমরা কবরস্থানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার ভাই হৃদয়ের মরদেহ পড়ে আছে।’

হৃদয় কেন কবরস্থানে গিয়েছিলেন, এমন প্রশ্নের কোনো সোজাসুজি জবাব দিতে পারেননি তিনি। বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ভাইয়ের সঙ্গে দুইজন লোকের ঝগড়া হয়। তারা তাকে চড় মেরেছে বলেও ভাই আমাকে জানান।

‘পরে রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন হৃদয়। তার কবরস্থানে কোনো কাজ ছিল না।’

এসময় অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে হত্যা করে কবরস্থানের বৈদ্যুতিক তারে পেঁচিয়ে রেখে গেছে খুনিরা। আমার ভাইয়ের খুনিদের বিচার চাই।’

তবে কাদের সঙ্গে হৃদয়ের ঝগড়া হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করেনি তিনি।

হাসপাতালে মর্গের সামনে থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন যুবক বলেন, ‘মাদক সেবন, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল নিহত হৃদয়। ধারণা করা হচ্ছে, কবস্থানের লাইট চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে সে।’

মরদেহের সুরতহালের প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করেন নরসিংদী মডেল থানার এসআই কামরুজ্জামান।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাই। নিহতের শরীর দেখে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পর্শেই মৃত্যু হয়েছে তার।’

তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর