বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদক কারবার নির্বিঘ্নে করতে হত্যা করা হয় পুলিশ সদস্যকে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ জুন, ২০২৩ ১৩:২২

বিভিন্ন সময়ে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারের পিছনে পুলিশ সদস্য বাদলের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করে অপরাধীরা। এতে নির্বিঘ্নে মাদক কারবার ব্যহতের আশঙ্কায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি রিপন নাথ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রিপন র‌্যাবকে জানান, মাদক কারবার নির্বিঘ্নে করতে সহযোগীদের নিয়ে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-১০-এর একটি দল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছে বিভিন্ন নামে নিবন্ধন করা ৯টি মোবাইল ফোনের সিম পাওয়া গেছে।

এর আগে হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে আরও একজন পলাতক রয়েছেন।

২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলের টিএন্ডটি কলোনি এলাকা থেকে পুলিশের কনস্টেবল বাদল মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় হত্যা মামলা করে।

২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল রিপনকে প্রধান অভিযুক্ত করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রিপন নাথ ঘোষসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

ঘটনার শুরু যেভাবে

গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, ২০১২ সালে ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রিপনের সহযোগী তার খালাতো ভাই গোপাল চন্দ্রকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন।

এর কিছুদিন পর মাদকবিরোধী অভিযানে রিপন নাথ ও তার এক সহযোগীকে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই আভিযানিক দলের সদস্য ছিলেন কনস্টেবল বাদল। পরে রিপন ও তার সহযোগী দুই মাস কারাভোগ করে জামিনে বের হন।

এক পর্যায়ে অপরাধীরা জানতে পারেন, কনস্টেবল বাদল মতিঝিল এলাকায় বসবাস করছেন। বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারের পিছনে বাদলের হাত রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করেন।

এতে নির্বিঘ্নে মাদক কারবার ব্যহতের আশঙ্কায় কনস্টেবল বাদলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে নিজে চালিয়ে হত্যায় অংশ নেয়া অন্য সহযোগীদে সঙ্গে নিয়ে কনস্টেবল বাদলের কর্মস্থল শাহবাগ গোলচত্ত্বর এলাকায় যান।

পরিকল্পনা অনুযায়ী রিপনের সহযোগী বিশ্বজিৎ নামে একজন কনস্টেবল বাদলকে ডেকে এনে কৌশলে প্রাইভেটকারে উঠান। তারা কনস্টেবল বাদলকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকেন এবং তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান।

এক পর্যায়ে তারা রাজধানীর মতিঝিলের এক নির্জন এলাকায় এসে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে কনস্টেবল বাদলকে হত্যা করেন।

র‍্যাবের মুখপাত্র আরও জানান, রিপন মতিঝিল এলাকার চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

বাদল হত্যার পর গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি দিনে টাঙ্গাইল-রংপুর রুটে বিভিন্ন বাসের সহকারীর কাজ করতেন।

রাতে মাদক কারবার করতেনে। এ জন্য তিনি বিভিন্ন নামে নিবন্ধন করা মোবাইল সিম ব্যবহার করতেন।

এ বিভাগের আরো খবর