বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, আল্টিমেটাম

  • প্রতিনিধি, ঢাবি   
  • ১৫ জুন, ২০২৩ ২২:০৯

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানিকের অনুসারী। এমনকি এই হামলার সময় কাউন্সিলর নিজেও উপস্থিত ছিলেন। মারধর শেষে অস্ত্র উঁচিয়ে তিনি সহযোগীদের নিয়ে চলে যান।

উল্টো পথে বাইক চালানো এবং অনর্গল হর্ন দেয়ার প্রতিবাদ করায় ১৫-২০ জন তরুণ হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু্ই শিক্ষার্থীকে। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে দোষীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছেন তারা।

আহত দুই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের আবাসিক ছাত্র। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে অন্য শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, হামলার শিকার একজনের মাথা ফেটে গেছে। আরেকজনের শরীর পিটিয়ে থেতলে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানিকের অনুসারী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন চানখাঁরপুল এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হানিফ ফ্লাইওভারের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এর প্রভাবে পুরো এলাকায় যানজট দেখা দেয়।

এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সৈয়দ ইশতিয়াক এম. সৈয়দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তারা হামলায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা রাত ৯টায় অবরোধ তুলে নেন। আর হলের প্রাধ্যক্ষ এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

চানখাঁরপুলে হানিফ ফ্লাইওভারের সামনে সড়ক অবরোধের ফলে পুরো এলাকা যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। ছবি: নিউজবাংলা

প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সৈয়দ ইশতিয়াক এম. সৈয়দ বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাদের দুজন শিক্ষার্থী এবং একজন কর্মচারী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তার মাথায় ১৫টা সেলাই দিতে হয়েছে। হল প্রশাসন তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে।

‘আমাদের হলের অফিস সহায়ক আলমগীর বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করতে গেছে। আমিও চাই অপরাধীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হোক।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অমর একুশে হলের শিক্ষার্থী তারেক আজিজ বলেন, ‘আজ বিকেলে ১০-১৫টি বাইকে করে ১৫-২০জন তরুণ-যুবক উল্টোপথে আমাদের হলের সামনে এসে হর্ন দিতে থাকে। এ সময় সেখানে থাকা আমাদের হলের দুই শিক্ষার্থী তাদের এভাবে হর্ন দিতে নিষেধ করে।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সম্মিলিতভাবে আমাদের দুই শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। মারতে মারতে তারা দুই শিক্ষার্থীকে হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে নিয়ে আসে। এতে এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়, আরেকজনের শরীর থেতলে যায়। পরে তাদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থীকে হলের কর্মচারীরা বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করে বাইকে থাকা কাউন্সিলরের অনুসারীরা। এ সময় ফ্লাইওভারের সামনে থাকা পুলিশ কোনো ভূমিকা নেয়নি। এমনকি হামলাকারীরা পুলিশ সার্জেন্টদের হাতে থাকা লাঠি নিয়েও আমাদের শিক্ষার্থীদের পেটায়।’

তারেক আজিজের দাবি, ঘটনার সময় কাউন্সিলর মানিকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আহত শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের আটকাতে চাইলে কাউন্সিলর শিক্ষার্থীদের অস্ত্র উঁচিয়ে বহর নিয়ে চলে যান।’

তবে কাউন্সিলর মানিকের দাবি, হামলার ঘটনায় তার নাম জড়ানোটা ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার অনুসারী কেউই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ঘটনার সময় আমি ছিলাম উত্তরায়। ঢাকায় এসেছি সন্ধ্যা ৬টায়। ‘ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক। আমিও এই হামলায় জড়িতদের বিচার চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর