সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক পুরনো মামলাগুলো আবার সচল হচ্ছে। তড়িঘড়ি সেসব মামলার রায় দিতেও চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। উদ্দেশ্য, বিএনপিকে মাঠে নামতে না দেয়া, মাঠছাড়া করা।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন কৌশলে সরকারের জুলুম-নির্যাতন বেড়েই চলেছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়ার তৎপরতা বাড়ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মামলায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাজই হচ্ছে সংঘাত সৃষ্টি করা। তারা সংঘাত সৃষ্টি করে আমাদের নামে মামলা দেবে। আমাদের নেতাকর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তার করে দমনের লক্ষ্য এই সরকারের।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশে আসা ও যাওয়ার সময় যুবদলের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। অথচ আমাদের কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। কী একটা অবস্থা! আমাদের ওপর হামলা করে আবার আমাদের নামেই মামলা!’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের নরসিংদীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও আগুন দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান দলটির মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন কৌশলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের জুলুম-নির্যাতন বেড়ে চলেছে। অতি সম্প্রতি এ ধরনের এক ভয়ঙ্কর চক্রান্তমূলক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলার আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন এবং তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানাসহ প্রায় ৫০ জন ছাত্রনেতা, যুবনেতা ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
‘শুধু তাই নয়, চক্রান্তমূলকভাবে খোকনের নরসিংদীর বাসভবন এবং বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়েছে। এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ যোগসাজশে ও সমর্থনে সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।