বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তরুণদের ইতিহাস-কৃষ্টি ধ্বংসের শিক্ষা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৫ জুন, ২০২৩ ১৮:৪৫

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য একজন মানুষের স্বাস্থ্যকে রাজনীতিকীকরণের উদাহরণ। তারা তাদের নেত্রীকে রাজনীতির পণ্য বানিয়েছে। তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, দয়া করে খালেদা জিয়াকে বা তার স্বাস্থ্যকে রাজনৈতিক পণ্য বানাবেন না।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা তরুণদেরকে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি ধ্বংসের শিক্ষা দিচ্ছেন; অগ্নি-সন্ত্রাসের শিক্ষা দিচ্ছেন।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামে বুধবার সমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতাকর্মীরা জামালখান এলাকার রাস্তায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামে অমর ভূমিকা রাখা মাস্টারদা সূর্যসেন, মাওলানা মনিরুজ্জামান থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ম্যুরালগুলো ভাংচুর করেছে। এর অর্থ বিএনপি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কোনোটাই মানে না। তারা এসব ধ্বংস করতে চায়। আমার প্রশ্ন, তারা তরুণদের কী শিক্ষা দিচ্ছে? ভাংচুর, অগ্নি-সন্ত্রাসের শিক্ষা দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এই অপরাধের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে এবং এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যকে রাজনৈতিক পণ্য বানাবেন না’

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব যখন বক্তৃতা করেন তখন মনে হয় ভেতরে ভেতরে উনি ‘এফআরসিএস’ পাস করেছেন; উনি এখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারও বটে। কারণ বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, আর মির্জা ফখরুল সাহেব গলা ফাটিয়ে বলেন উনি জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে। এখন ডাক্তারদের কথা ঠিক না ফখরুল সাহেবের কথা ঠিক- এটাই প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য একজন মানুষের স্বাস্থ্যকে রাজনীতিকরণ করার উদাহরণ। তারা বেগম জিয়াকে রাজনীতির পণ্য বানিয়েছে। এটা তার জন্য খুবই অবমাননাকর।

‘বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা এবং সম্মান রেখে আমি তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, দয়া করে তাকে বা তার স্বাস্থ্যকে রাজনৈতিক পণ্য বানাবেন না।’

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি দেয়া, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রায় দুশ’ বাংলাদেশির প্রতিবাদলিপি দেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ওই চিঠি না পাওয়ার খবর বেরিয়েছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?

জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি তো ইতিপূর্বে কংগ্রেসম্যানদের নামে ভুয়া চিঠিও প্রকাশ করেছিল। স্টেট ডিপার্টমেন্ট যেখানে বলছে যে চিঠি পায়নি, সেখানে কংগ্রেসম্যানদের চিঠির যথার্থতা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে কংগ্রেসম্যানরা এরকম চিঠি দিতেই পারেন। শত শত কংগ্রেসম্যানের মধ্যে ৬ জন চিঠি দিয়েছেন। আর এগুলো বাংলাদেশেই খবর হয়, অন্য কোনো দেশে খবর হয় না।’

‘নিউজপ্রিন্ট সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে’

এর আগে বিএসপি সভাপতি ও আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু এবং সাধারণ সম্পাদক জি এম কিবরিয়া তাদের বক্তব্যে নিউজপ্রিন্টের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা, বিগত অর্থবছরগুলোর ক্রোড়পত্রের বকেয়া বিল পরিশোধ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে বিএসপি সদস্য অন্তর্ভুক্তি, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান ব্যবস্থা কেন্দ্রীয়করণসহ কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন।

জবাবে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে নিউজপ্রিন্ট ব্যবসার একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। এই সিন্ডিকেট দাম বাড়ায়-কমায়। এই সিন্ডিকেটের কারণেই সরকারের কয়েক দফা উদ্যোগের পরও খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল চালু করা সম্ভব হয়নি।

‘আগে বাংলাদেশে উৎপাদিত নিউজপ্রিন্ট দিয়ে পত্রিকা ছাপানো হতো। তখন বিজ্ঞাপন বাদে শুধু পত্রিকা বিক্রির অর্থ দিয়েই মোটামুটিভাবে পত্রিকা চালানো যেত। এখন নিউজপ্রিন্টের একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে, এটা ভাঙতে হবে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কয়েক দফা আলোচনা করেছি। এ ব্যাপারে সবারই সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অব্যয়িত কয়েক কোটি টাকা আমরা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে দেয়ার প্রস্তাব করেছি, যাতে বকেয়া বিল পরিশোধ করা যায়।

‘আর দেশে যখন এক-দেড়শ’ পত্রিকা ছিলো তখন বিজ্ঞাপন কেন্দ্রীয়ভাবে ছিলো। এখন সাড়ে ১২শ’ পত্রিকা আর বিজ্ঞাপন এতো বেশি যে বাস্তবতার নিরিখে এগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর