জামালপুরের বকশীগঞ্জে ‘দুর্বৃত্তের’ হামলায় আহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম মারা গেছেন।
বুধবার রাত ১০টার দিকে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে দায়ী করেছে পরিবার।
গোলাম রব্বানী নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশনের স্থানীয় সংবাদদাতা। তিনি জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে গোলাম রব্বানীকে পিটিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায় ‘দুর্বৃত্তরা’। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর নারী কেলেঙ্কারির সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন নাদিমের ওপর হামলা চালায়। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আমার স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িত মাহমুদুল আলম বাবুহ তার সহযোগীদের ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাহমুদুল আলম বাবুর মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেয়া হয়। কিন্তু তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য জানা যায়নি।
সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করেছে জামালপুর প্রেসক্লাব। সভায় বক্তারা এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার এবং তার ফাঁসির দাবি জানান।