বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবর্তিত বিশ্বের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৫ জুন, ২০২৩ ১৪:২৬

তথ্য প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সবাইকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে, ডিজিটাল ডিভাইস কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটাও শিখতে হবে।

নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট: সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার’ শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনে বুধবার দেয়া ভাষণের পর এক প্রশ্নে তিনি এ আহ্ববান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংস্থাগুলোর কাছে এই উদ্যোগ আশা করেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যবস্থা বদলে যাচ্ছে, নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসতেছে। আমরা চাই কাউকে যেন তাদের চাকরি হারাতে না হয়। তাই চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমাদের প্রয়োজন শিক্ষা।

তথ্য প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সবাইকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে, ডিজিটাল ডিভাইস কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটাও শিখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ এক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণকে আরও বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত, যাতে জনগণ দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, আমাদের দেশে আমরা এটি করছি।

বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল পর্যায় থেকে আমাদের ডিজিটাল ল্যাব এবং কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। এরপর প্রশিক্ষণ এবং ইনকিউবেশন সেন্টার আছে যাতে তরুণ প্রজন্ম প্রশিক্ষণ নিতে পারে। আমরা আমাদের জনগণকে প্রস্তুত করছি।

‘সামাজিক ন্যায়বিচার’কে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর কেন্দ্রে রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচারকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর কেন্দ্রে রাখা প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া স্থায়ী শান্তি অথবা টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না।

সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের বাংলাদেশে বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আছে। এটি শ্রমিক, কৃষক, বয়স্ক মানুষ, শিক্ষার্থীদের জন্য। কর্মজীবী মা, স্তন্যদাত্রী মা এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীও এর আওতায়। সরকার তাদের ভাতা দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের মতো করে সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি। কিন্তু আমি মনে করি এটি আরও ব্যাপক ভাবে হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) উদ্যোগ নিতে পারে এবং কোনো মানুষ যাতে পিছিয়ে পড়ে তা নিশ্চিত করতে মানুষের জন্য সহায়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা উচিত।

এ বিভাগের আরো খবর