বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কালু মামা’র দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ

  • প্রতিনিধি, শেরপুর   
  • ১৫ জুন, ২০২৩ ১৩:৩২

দুই বছর ধরে কালু মামার লালন-পালন করছেন বাহাদুর। তার দাবি, কালু মামা প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার খাবার খায়। এ পর্যন্ত লালন-পালনে খরচ হয়েছে ৪ লাখ টাকা। কেনার খরচ ছাড়াও রয়েছে শ্রমের মূল্য। তাই তিনি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চাচ্ছেন।

দেখতে কালো। পায়ের খুর থেকে কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা ৫ ফুট এবং দৈর্ঘ্যে ৯ ফুট। ওজন ২২ মণ। জাতে হলস্টেইন। নাম তার কালু মামা। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।

শেরপুর পৌরসভার কসবা কাঠগড় এলাকার বাহাদুর ইসলাম গরুটির মালিক। তিনি পেশাদার খামারি নন। গাড়িচালক বাহাদুর বাড়তি আয়ের আশায় গরুটি লালন-পালন করছেন।

বাহাদুর বলেন, ‘পাবনা ঘুরতে গিয়ে বড় আকারের গরু দেখে পালার ইচ্ছা জাগে। পরে সেখান হলস্টেইন জাতের ষাড় গরুটি কিনি। দাম পড়েছিল ৮৫ হাজার টাকা। পাবানা থেকে বাড়িতে আনতে খরচ হয় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।’

গরুটি কালো হওয়ায় কালু ডাকা যায়। কিন্তু মামা এলো কোথা থেকে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধুর মামার পছন্দে ও সহায়তায় গরুটি কিনি। সেই মামাই ‘‘কালু মামা’’।’

দুই বছর ধরে কালু মামার লালন-পালন করছেন বাহাদুর। তার দাবি, কালু মামা প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার খাবার খায়। এ পর্যন্ত লালন-পালনে খরচ হয়েছে ৪ লাখ টাকা। কেনার খরচ ছাড়াও রয়েছে শ্রমের মূল্য। তাই তিনি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চাচ্ছেন।

তিনি জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে কেনার জন্য মানুষ আসছেন। তারা দরদাম করছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকা দাম উঠেছে।

গরু পালন বিষয়ে বাহাদুর ইসলাম জানান, কাঁচা ঘাসের পাশাপাশি ভুট্টা, জব, কালাই, গমের ভুসি ও খড় খাওয়ানো হয়। মাঝেমধ্যে খাওয়ান মৌসুমি ফল। তবে কালুর পছন্দের ফল আঙুর। আঙুর পেলে কালুর আনন্দ দেখে কে!

বাহাদুরের কাকা রহমত বলেন, ‘গরুটা খুব শখ কইরা পালছে। সবারই এর প্রতি মায়া জন্মে গেছে। সন্তানের মতো আদর পাইছে। আমরাও বারবার এসে গরুটাকে দেখে যাই। খুব ভালো লাগে। বিক্রি হলে কষ্ট লাগবে কিন্তু বিক্রি তো করতেই হবে।’

শহর থেকে দেখতে আসা মো. জিহাদ বলেন, ‘আমি কখনও এত বড় ষাঁড় দেখিনি। ফেসবুকে দেখে সেলফি নিতে এসেছি।’

সদরের চরশেরপুর থেকে আসা রফিক বলেন, ‘সব সময় টিভিতে বড় গরু দেখি। আজ বাস্তবে দেখলাম।’

আরেক উৎসাহী হুমায়ুন বলেন, ‘আমার বাড়ি পাশের গ্রামেই। লোকজনের কাছে শুনে দেখতে আসছি। গরুটি বড়, দেখতেও সুন্দর।’

গরুর পাইকার হাসান বেলাল বলেন, ‘কেনার জন্য দেখছি। দরদাম করে যদি নিতে পারি তাহলে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করব।’

শেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জেলায় অনেক খামারি এমন গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। অনেকের বাড়ি থেকেই গরু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলায় এবার ২০টি কোরবানির হাট বসবে। পাঁচটি অনলাইন প্লাটফর্ম থাকবে। প্রতিটা হাটে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে একটি করে টিম কাজ করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর