নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন, বছর চার আগে যার গুলি ছোড়ার ভিডিও ছড়িয়েছিল ফেসবুকে।
সদর উপজেলার পাগলার রসুলপুর এলাকার বউবাজারে বুধবার রাতে পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে হত্য করা হয়। এ সময় আহত হন তার আরও তিন বন্ধু।
নিহত ২৭ বছর বয়সী হাফিজুর রহমান সোহান পাগলার পূর্বপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পেশায় সিমেন্ট ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিক্সার গ্যারেজের মালিক জয়নাল মিয়ার মেয়ে স্বর্ণার সঙ্গে সোহানের বন্ধু নাবিলের সঙ্গে প্রমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের দু পক্ষের বিরোধ চলছিল।
এর জেরে রাতে সোহান ও তার বন্ধু নাবিলসহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে জয়নালের গ্যারেজে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন। গ্যারেজে ভাংচুরের খবর পেয়ে জয়নাল ও তার ছেলে ওয়াসিমসহ তাদের লোকজন গিয়ে তাদের ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে সোহানসহ তার বন্ধুদের ছুরিকাঘাত করেন তারা।
পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসান, ইমন ও আল আমিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত সোহানের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে তার মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হবে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর বলেন, গ্যারেজ মালিক জয়নালের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের কারণে সোহানকে হত্যা করা হয়েছে। গ্যারেজের ভেতরে সোহানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
সিমেন্ট ব্যবসায়ী সোহান হত্যার ঘটনায় জয়নাল ও তার ছেলে ওয়াসিমকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক মো. মহসিন।
তিনি বলেন, যারা হত্যা জড়িত তাদের শনাক্ত ও আটকে অভিযান অব্যহত রয়েছে। বর্তমানে বউ বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় পরিস্থিতি শান্ত আছে।
২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সোহান অস্ত্র নিয়ে ওপরে তাক করা অবস্থায় গুলি ছুড়ছেন। ভিডিওটি তখন ভাইরাল হয়েছিল।