দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বগুড়া বিএনপির ১২ নেতা আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন। বুধবার বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেনে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়।
বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা হলেন- দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল জলিল খন্দকার, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হোসেন সরকার, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাজা, সহসভাপতি আবদুল মান্নান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি হারুন তরফদার, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আলী, পৌর বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ তানভীর আহমেদ, শ্রমিক দলের পৌর শাখার সভাপতি আবদুল জলিল প্রামাণিক, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইসরাফিক ইসলাম, পৌর বিএনপির সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাসেম আলী প্রামাণিক, পৌর বিএনপির সদস্য মারুফ হোসেন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী পৌর বিএনপির সহমহিলা বিষয়ক সম্পাদক সোনিয়া রাজভর।
কেন্দ্রীয় বিএনপির ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ নেতা। ৯ জুন কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে তাদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়। কিন্তু কেউ সেই নোটিশের জবাব দেননি। এ জন্য ওই ১২ জনের দলের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ সব পর্যায় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানতে চাইলে দল থেকে অব্যহতি পাওয়া মেয়র প্রার্থী আবদুল জলিল খন্দকার বলেন, ‘বহিষ্কার হব জেনেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমার এলাকার জনগণের মতামতকে সম্মান জানাতেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া। কারণ তারা আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে অতিষ্ট। তারা না বাঁচলে দল দিয়ে কী করব?’
এ জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশে জবাবও দেননি বলে জানান তিনি।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। এই নীতি মানতে হবে। নীতি ঠিক না থাকলে দলের শৃঙ্খলাও ঠিক থাকবে না। এ জন্য তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনে আরও কঠোর হব।’