বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে লাঙ্গল কার?

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ জুন, ২০২৩ ২৩:২০

জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে কাজী মো. মামুনুর রশিদের নাম ঘোষণা করেন। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বুধবার এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছেন মেজর (অব.) সিকদার আনিছুর রহমানকে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ১৭ জুলাই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাতকে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এই আসনে দু’জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে- লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে কে লড়বেন এই আসনে?

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বুধবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুই আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তাদের মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনে তিনি লাঙ্গলের প্রার্থী হিসেবে মেজর (অব.) সিকদার আনিছুর রহমানকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আর চট্টগ্রাম-১০ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে মো. সামসুল আলমের নাম ঘোষণা করা হয়।

ওদিকে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনে দল থেকে কাজী মো. মামুনুর রশিদের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। এরপর বুধবার দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ওই দুই আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এটিইউ তাজ রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।

এর আগে ৫ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনে কাজী মো. মামুনুর রশিদকে প্রার্থী ঘোষণা করেন। বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্ ওই বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠান।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এই দলের সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র আছে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

‘২০১৯ সালের সম্মেলনের পর যে কমিটি হয়েছে তা-ও নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হয়েছে। এসবের ভিত্তিতেই কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কে হবেন। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের- এটা অস্বীকার করার আর কোনো সুযোগ নেই।’

এদিকে রওশন এরশাদ মনোনীত প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার জন্য বুধবার দলটির বহিষ্কৃত নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গার নেতৃত্বে একটি দল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যায়। তারা প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলার একটি রায়ের কপিও নির্বাচন অফিসে জমা দেন।

জাপা মহাসচিব চুন্নু অবশ্য বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, এই রায় নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আগের, যা এখন প্রযোজ্য নয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মশিউর রহমান রাঙ্গার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ১৫ মে মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য হয়। এরপর এই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে অনুযায়ী ১৭ জুলাই এ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনে জাপার প্রার্থী সামসুল আলম

সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. মো. আফছারুল আমীন ২ জুন মারা যাওয়ার পর চট্টগ্রাম-১০ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে ইসি এ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সে অনুযায়ী ৩০ জুলাই বন্দর নগরের এই আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। এখানে মনোনয়ন পেতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ডজনখানেক নেতা।

মনোনয়নপ্রত্যাশী এসব নেতার মধ্যে আলোচনায় আছেন- নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক সিটি প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সাবেক মেয়র মনজুর আলম, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, প্রয়াত আফছারুল আমীনের ভাই এরশাদুল আমিন, ছেলে ফয়সাল আমিন ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা এমদাদুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর