বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোট পড়েছে ২০ শতাংশ, কারসাজি করে বাড়ানো হয়েছে

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ১৪ জুন, ২০২৩ ১৯:০৩

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘ইভিএমে আগে থেকেই সব নির্ধারণ করে রাখা যায়। খুলনা সিটি নির্বাচনে তেমন ঘটনাই ঘটেছে। এখানে ভোট পড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আর কারসাজি করে তা ৪৮ শতাংশ বানানো হয়েছে।’

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর তা কারসাজি করে ৪৮ শতাংশ বানানো হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।

বুধবার খুলনা নগরীর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে খুলনা মহানগর বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করতে ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘ইভিএমে আগে থেকেই সব নির্ধারণ করে রাখা যায়। খুলনা সিটি নির্বাচনে তেমন ঘটনাই ঘটেছে। এখানে ভোট পড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আর কারসাজি করে তা ৪৮ শতাংশ বানানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন দুপুরেও অধিকাংশ পত্র-পত্রিকায় বলা হয়েছে যে ভোট দিতে মানুষ কেন্দ্রে যাচ্ছে না। বেলা ২টা পর্যন্ত দেখা গেছে সামান্য কিছু ভোট পড়েছে। নির্বাচন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর ফলাফলে দেখলাম তারা ৪৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এটা একেবারেই কারসাজির মাধ্যমে করা হয়েছে।’

নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে খুলনায় পুনরায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, ‘নবনির্বাচিত মেয়রের উদ্যোগে নির্বাচনের সময় খুলনা নগরীতে কোনো লোডশেডিং ছিল না। কিন্তু নির্বাচনের পরদিন থেকে আবারও লোডশেডিং শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।’

দেশের স্বার্থরক্ষায় পুলিশ প্রশাসনকে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন চলছে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হলেও খুলনায় কর্মসূচি দিলেই সরকারের পেটোয়া বাহিনী পুলিশ গায়েবি মামলা দিয়ে, হামলা চালিয়ে, নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে অহেতুক হয়রানি করে অরাজকতাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

‘খুলনায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অতিউৎসাহী পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বিএনপি নেতা বাবুল কাজীর মৃত্যু হয়েছে। মহানগর বিএনপি সিনিয়র নেতা ফখরুল আলমের একটি চোখের আলো চিরতরে নিভে গেছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই কর্মীকে সমাবেশ থেকে ধরে নিয়ে পুলিশ চুল কেটে দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির নেতা স ম আবদুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা আবুল কালাম, কাজী মাহমুদ আলী, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম, শের আলম, মাহবুব হাসান, শেখ সাদী, হুমায়ুন কবীর, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান, মিজানুর রহমানসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর