বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীমকে হামলার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) একটি মন্তব্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।
বুধবার বিকেলে নগরের কুপারপাড়ায় নিজের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি করেন নজরুল ইসলাম বাবুল।
তিনি বলেন, ‘বরিশালের ঘটনার পর সিইসি একজন প্রার্থী সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শুনে আমি নিজেই আতঙ্কিত। সিইসির যেখানে নিরপেক্ষ মাঠ প্রস্তুত রাখার কথা, সেখানে তিনি সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে সাফাই গাইছেন। সিলেট সিটি নির্বাচনে কি হয় আল্লাহই জানেন।’
এসময় অভিযোগ করে বাবুল বলেন, ‘আমাকে নানাভাবে চাপের মধ্যে রাখা হচ্ছে। মাঠে থাকা জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের চোখ রাঙানি দেয়া হচ্ছে। আমাদের কর্মসূচিতে নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে, পরিস্থতি আরও ভয়াবহ হচ্ছে।’
রিটার্নি কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে বার বার অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘মাঠে থাকা প্রশাসন বরং আমার ওপরই কড়াকড়ি আরোপ করছে। অথচ, নৌকার প্রার্থী প্রতিদিন আচরণবিধি লঙ্গণ করে প্রচার চালাচ্ছেন।’
বাবুল বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগে সিলেটে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসানও সরে দাঁড়িয়েছেন। এখন টার্গেট আমি। আমাকে সরানোর চেষ্টা চলছে।’
তবে জীবন গেলেও ভোটের মাঠ ছাড়বেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চলমান সিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। নইলে সিলেটের ইতিহাসে এটি একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।’
দু’দিন আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নজরুল ইসলাম বাবুলের একটি ব্যক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাবুল।
ভিডিওর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি ভুয়া ভিডিও ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে। এতে এডিট করে আমার ছবি যুক্ত করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এটি ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ তার।
বরিশালে ভোটের দিন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেদিন ঢাকায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বরিশালে মেয়র প্রার্থী রক্তাক্ত হয়েছেন কি না, আমরা জানি না। এখন সবকিছু তো আপেক্ষিক। উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? যতটুকু জেনেছি, কেউ পেছন থেকে তাকে ঘুষি মেরেছেন। আমরা সেটা দেখেছি, কিন্তু ওনার রক্তক্ষরণ দেখিনি।’