বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ বিষয়ে দুদকে চলা অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ধরনের মতামত বা মন্তব্য প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বাদী বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও বিবাদী পক্ষকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অন্তর্বর্তীকালিন আদেশ দেন।
আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন। অন্যদিকে ছিলেন অনিক আর হক ও ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকেরা তাকে প্রশ্ন করেন। তবে কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভেরি স্যাড। আমার পক্ষে যা বলার সব আমার আইনজীবী বলবেন।’
এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, আপনি প্রথম হাইকোর্টে আসলেন কিনা। উত্তরে তিনি হ্যাঁ সুচক জবাব দেন।
মানহানিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগে একাত্তর টেলিভিশনসহ ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে সোমবার রিট দায়ের করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
রিটে প্রচারিত পাবলিক ডোমেইনে থাকা ভুয়া ও মানহানিকর তথ্য অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
একইসঙ্গে ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং পলিসি ২০১৪ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির জন্য আবেদনে বলা হয়।
এই রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় পাবলিক ডোমেইনে থাকা কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে করা মানহানিকর ও ভুয়া তথ্য অপসারণ করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি আদালত।
তবে ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে দুদকে চলা অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ধরনের মতামত প্রকাশ না করতে বাফুফে সভাপতি ও বিবাদী পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।