রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ ও তার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক।
৩৩ বছর বয়সী বৃষ্টি আক্তার ও তার ১০ বছরের মেয়ে সানজা মারওয়াকে বাড্ডার বাসা থেকে বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে উদ্ধার করা হয়। ঢামেক হাসপাতালে আনার পর ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃষ্টির স্বামী মো. সেলিমকে আটক করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।
গৃহবধূর মামা সোহেল রানা জানান, খবর পেয়ে রাতে মেরুল বাড্ডার বাসার একটি কক্ষে দুজনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।
তিনি আরও জানান, বৃষ্টির স্বামী বেকার ছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই তার ঝগড়া হতো। ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টিকে গলা চেপে বা বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন সেলিম। বিষয়টি দেখে ফেলায় মেয়েকেও হত্যা করেন তিনি।
গৃহবধূর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী এলাকায়। তারা মেরুল বাড্ডার জমশেদ টাওয়ারে থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত সহকারী ইনচার্জ মাসুদ মিয়া জানান, মরদেহ দুটি ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বাড্ডা থানা পুলিশ অবগত আছে।