স্মার্ট ফোনে গ্লাস প্রোটেক্টর লাগাতে দিলে মেকানিক ফোনের ক্যামেরা খুলে নিয়েছেন- এমন অভিযোগে ঢাকার সাভারে একটি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে রাজ্জাক প্লাজার তৃতীয় তলায় মোবাইল মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন জাবির পরিসংখ্যান বিভাগের ৫১তম ব্যাচের রাশেদ ও বাংলা বিভাগের ৫১ ব্যাচের জুবায়ের। আহত বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।
জাবির পরিসংখ্যান বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সোহেব বলেন, ‘আমাদের এক বান্ধবী তার ফোনের গ্লাস প্রোটেক্টর লাগাতে দেয় গত পরশু। ফোনটি নিয়ে একটি গোডাউনে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ পর ফোনটির গ্লাস প্রোটেকটর লাগিয়ে আনেন মেকানিক। বান্ধবী ফোন নিয়ে হলে এসে দেখে ফোনের পেছনে নতুন আঠা দেয়া ও ফোনটির ক্যামেরা ঘোলা। স্বাভাবিকভাবে ৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফোনের ক্যামেরা ভালো থাকার কথা। তার সন্দেহ হওয়ায় দোকানে গিয়ে বিষয়টি জানালে মেকানিক দোকানদার তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি করে।
‘পরে বিষয়টি জেনে ক্যম্পাসের বাকি শিক্ষার্থীরা মার্কেটটিতে গেলে মার্কেটের সব পথ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়ে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।’
রাজ্জাক প্লাজা মার্কোটের ব্যবসায়ীরা জানান, দুইদিন আগে জাবির এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ঠিক করা হয় সিয়াম টেলিকম নামের একটি দোকানে। ফোনটির আঠা ছুটে যাওয়ায় আজ শিক্ষার্থীরা আবার আসেন দোকানটিতে। সেখানে দোকানদার ও শিক্ষার্থীর ভেতরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীরা চলে গিয়ে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসলে মার্কেটের সকল ব্যবসায়ীরা নিচে নেমে হামলা প্রতিরোধ করে।
এখন মার্কেট বন্ধ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনে সরাসরি মার্কেটে এসেছি। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি৷’
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ সবাই এখানে এসেছেন। আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে৷’