আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখনও মনে মনে মনকলা খাচ্ছে। দলটি বিদেশি শক্তিকে দিয়ে দুই বছরের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসানোর পরিকল্পনা করছে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর হাজারীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি বলছে, তত্ত্বাবধায়ক না হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা আসুক বা না আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সময় আর স্রোতের মতো সংবিধানের নিয়মও কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদেশি শক্তিকে দিয়ে দুই বছরের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসানোর পরিকল্পনা করছে। তারা মনে মনে মনকলা খাচ্ছে। মনে করছে ১ তারিখের মতো, অক্টোবর মাস; সেই তত্ত্বাবধায়ক। নিজের দলের ফখরুদ্দীন, মঈনুদ্দিনকে বসাবে।
‘আমরা বেঁচে থাকতে সেটা আর হবে না। তারা কীভাবে এটা মনে করল? আমরা সব খবর রাখি। ওয়ান/ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই।’
সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও বিএনপি কোনোদিন পরাজয় মেনে নেবে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরাজিত হলেই কেবল বিএনপি ও তার দোসররা বলবে যে নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপি এমন একটি দল যারা আইন মানে না, বিচার মানে না, সালিশ মানে না। তারা আইন অমান্যকারী।’
নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যারা বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি তাদেরকে বাধা দেয় কিনা আমরা তা দেখতে চাই। গাজীপুর, খুলনা ও বরিশালের মতো সামনের সব নির্বাচন সুন্দর হবে।’
শাসক দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘শেখ হাসিনার সময় শেষ, আওয়ামী লীগের সময় শেষ। সময়টা কবে শেষ হলো দিন-তারিখ ঠিক করে প্রেস কনফারেন্স করুন। আমরা যাতে এক গোছা গোলাপ, রজনীগন্ধা নিয়ে হাজির হতে পারি। যেন আমরা সময়মতো আপনাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি।
‘১৪ বছর ধরে দেখছি। সময় তো শেষ হয়নি। মানুষ বেঁচে থাকে কত বছর?’
কাদের বলেন, ‘কত কথা এরা বলে! জনগণের কাছে একটি বিষয় জানতে চাই- আপনারা কি মনে করেন শেখ হাসিনা দেশটা ভালো চালিয়েছেন? লোডশেডিং কমে যায়নি?
‘ফখরুল সাহেব- আপনাদের দোয়া, শকুনের দোয়া কাজে লাগেনি। আল্লাহর কী রহমত, তাপমাত্রা কমে গেছে। তাপমাত্রা আরও কমবে। লোডশেডিং আরও কমে যাবে। কয়েকটি দিন অপেক্ষা করুন। বাজেটে একটু ঘাটতি ছিল। জাপান সহযোগিতা করেছে, সোয়া ৪শ’ মিলিয়ন ডলার।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন বিদেশে সম্মানিত হন তখন বাংলাদেশের মানুষ খুশি হয়; কষ্ট পায় বিএনপি। তাদের কলিজা শুকিয়ে যায়। তাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না।’
শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম মহিউদ্দিন প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।