বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ জুন, ২০২৩ ১৯:৫৭

শুধু তাই নয়, গত বছরের চেয়ে দেশে শিশুমৃত্যুর হারও বেড়েছে। সে সঙ্গে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ব্রেন ড্রেন।

দেশে সামগ্রিকভাবে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। শুধু তাই নয়, গত বছরের চেয়ে দেশে শিশুমৃত্যুর হারও বেড়েছে। সে সঙ্গে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ব্রেন ড্রেন।

রাজধানীর পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২-এর ফল প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রকাশ করা হয়েছে এসব তথ্য।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন। বিবিএস-এর মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) পরিমল চন্দ্র বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

প্রবন্ধে দেশের মানুষের গড় আয়ুতে ঊর্ধ্বগামীতা লক্ষ করা গেছে। ২০২১ সালের জরিপ অনুযায়ী, দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর। তবে ২০২২ সালে প্রত্যাশিত গড় বেড়ে হয়েছে আয়ু ৭২ দশমিক ৪ বছর।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরুষের গড় আয়ু এখন ৭০ দশমিক ৮ বছর, আর নারীর গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ২ বছর।

২০২১ সালের জরিপে প্রথমবার বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কোর তথ্য দেয়া হয়েছিল। ওই জরিপে বলা হয়, দেশের মানুষের গড় প্রত্যাশিত আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর। এর আগের বছর যা ছিল ৭২ দশমিক ৮ বছর। ২০১৯ সালে গড় প্রত্যাশিত আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৬ বছর।

সেই হিসাবে, ২০২১ সালের তুলনায় বাড়লেও ২০২২ সালে দেশের মানুষের গড় প্রত্যাশিত আয়ু ২০১৯ ও ২০২০ সালের চেয়ে কম।

গড় আয়ু বাড়লেও দেশে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। ২০২১ সালে দেশে এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার ছিল হাজারে ২২ জন, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৫ জন। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার ২০২১ সালে ছিল প্রতি হাজারে ২৮ জন, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘দেশে শিশুমৃত্যুর হার বৃদ্ধি কাম্য নয়। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এটা কমাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

জরিপে আরও দেখা গেছে, ২০২২ সালে দেশে প্রতি হাজারে মৃত্যুহার কিছুটা বেড়েছে। ২০২১ সালে দেশে প্রতি হাজারে মৃত্যুহার ছিল ৫ দশমিক ৭, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮। ২০১৯ সালে প্রতি হাজারে মৃত্যুহার ছিল ৪ দশমিক ৯, ২০১৮ সালে যা ছিল ৫। সেই তুলনায় ২০২২ সালে প্রতি হাজারে মৃত্যুহার বেড়েছে অনেকখানি।

এদিকে, একই সময়ে প্রতি হাজারে বিদেশে অভিবাসনের হার ৩ থেকে বেড়ে ৬.৬ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এটিকে ব্রেন ড্রেনের ফল হিসেবে অভিহিত করেছেন। দেশের জন্য এটাকে নেতিবাচক বলে মন্তব্য করেন তারা।

শামসুল আলম বলেন, ‘মানি লন্ডারিংয়ের চেয়েও ব্রেন ড্রেনের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসি... নীতি গ্রহণের সময় আমাদের এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর