বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ভোটের পরদিনই এমন নির্দেশনার পাশাপাশি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করে বুধবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সোমবার খুলনা ও বরিশাল সিটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকারের এ ভোটে দক্ষিণের দুই সিটিতেই জয় পেয়েছে নৌকা। তবে খুলনায় নিরুত্তাপ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও বরিশালে কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এছাড়া বরিশালে মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা, গোপনকক্ষে ভোট ডাকাতিসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত নানা অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কতিপয় অনিয়মের কথা প্রচার হয়েছে। একাধিক মিডিয়ায় যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে তা হচ্ছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের উপর হামলা, বরিশালে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী আহত, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ, বরিশাল নগরীর কাউনিয়া ব্রাঞ্চ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে বুথে ঢুকে ভোটারকে নির্দেশনা দিয়েছেন নৌকার এজেন্ট। এ সময় প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়া হয়েছে, এমন সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
‘সে বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।’
বরিশালের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১৪ জুনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।