বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই সিটি নির্বাচন থেকে বিএনপির শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ জুন, ২০২৩ ১৮:৪৪

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিজ বিবেচনায় জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি ভোট বর্জন করে, জনগণ কিন্তু ব্যাপকভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫০ শতাংশের আশেপাশে ভোট কাস্ট হওয়ায় নির্বাচনে জনগণের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্পচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করেনি; এ থেকে তাদের শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শিবুকান্তি দাশ রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস ‘মিলিটারি এলো গ্রামে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী ও প্রকাশক রেহেনা চৌধুরী মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সোমবার অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে দুই সিটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট দিয়েছে। বিএনপি ভোট বর্জন করেছে; ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে। তাদের দলীয় কর্মীদের ভোটে অংশগ্রহণ করতেও নিষেধ করেছে। তারপরও তাদের নেতা-কর্মীরা দুটি সিটি নির্বাচনেই প্রার্থী হয়েছে।

‘জনগণও তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি, নিজ বিবেচনায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি ভোট বর্জন করে, জনগণ কিন্তু ব্যাপকভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান ও রাজশাহী ও সিলেটে সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘ইসলামি আন্দোলন দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। কিন্তু দুই সিটি করপোরেশনেই বিজয়ীরা তাদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ ভোট পেয়েছেন। এতে তারা বুঝতে পেরেছে যে আগামী নির্বাচনেও তাদের কোনো ভরসা নাই। এ জন্য আগেভাগেই পাততাড়ি গুটিয়ে পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই হয়ত তারা সেই ঘোষণা দিয়েছে।’

বরিশালে ইসলামি আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীকে পেছন থেকে একজন ঘুষি মারার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে বা যারাই এটি করুক না কেন, নির্বাচন কমিশন তদন্ত করছে; প্রশাসনও তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‘সবকিছু ছাপিয়ে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক বিষয়টি হচ্ছে, অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিবৃতিকে নাকচ করে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সমস্ত পত্রিকায় লিখেছে, সমস্ত টেলিভিশন রিপোর্ট করেছে, অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ভোট হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব এ ধরণের গৎবাঁধা কথা, একই টেপ-রেকর্ড থেকে বের হতে পারছেন না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক সময় সহিংসতা-গণ্ডগোল হয়। সেই তুলনায় গতকাল একটি মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

নীতিমালা লঙ্ঘন করে আইপি টিভি ও ইউটিউবে সংবাদ প্রচার

সাংবাদিকরা এ সময় নীতিমালা লঙ্ঘন করে কিছু আইপি টিভি ও ইউটিউবে কৌশলে সংবাদ প্রচার করার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধিত কিংবা অনিবন্ধিত কোনো আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেল সংবাদ প্রচার করতে পারে না বা প্রচার করা নিয়ম বহির্ভূত। এ কথা সত্যি যে কিছু আইপি টিভি, যার বেশিরভাগই অনিবন্ধিত, ও কিছু ইউটিউব চ্যানেল নানা কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রচার করছে। এটি আমাদের নজরে এসেছে; পত্র-পত্রিকাতেও আমরা দেখেছি। এ ব্যাপারে খুব সহসা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এর আগে মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাসকে নতুন প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি ‘মিলিটারি এলো গ্রামে’ উপন্যাসের রচয়িতা শিবুকান্তি দাশকে ধন্যবাদ দেন এবং নিজে বইটি পড়বেন বলে জানান।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী এ সময় তার রচিত দু’টি গ্রন্থ মন্ত্রীকে উপহার দেন।

এ বিভাগের আরো খবর