বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামানত খোয়ালেন ৫ মেয়র ও ৬২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী

  • প্রতিবেদক, বরিশাল   
  • ১৩ জুন, ২০২৩ ১৭:৪৬

নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে।

একেবারেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পেরে নৌকা ও হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া জামানত হরাতে হচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের বাকি ৫ মেয়র প্রার্থীর। সে সঙ্গে ৫ ডজনেরও বেশি ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থীর জামানতও চলে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আয়ের খাতায়।

সোমবার বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। তার প্রাপ্ত ৮৭ হাজারর ৮০৮ ভোটের বিপরীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।

বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর জানান, এ নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৭ ভোটের মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার ১৭৭ ভোট পড়েছে। প্রদত্ত এ ভোটের মধ্যে ৪২১টি ভোট বাতিল হয়েছে। সেই হিসেবে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৬টি।

নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে।

আর এ হিসাব অনুযায়ী মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যেককে জামানতের টাকা ফেরত নিতে হলে অন্তত ১৭ হাজার ৭৭২ ভোট পেতে হতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ছাড়া আর কেউই ওই সীমা পার হতে পারেননি। তাই বাকি ৫ মেয়র প্রার্থীর জামানত হারাতে হচ্ছে।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সবচেয়ে কম ৫২৯টি ভোট পেয়েছেন হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামন। এর ওপরে রয়েছেন হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ ভোট। তার ওপরে থাকা জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের মিজানুর রহমান বাচ্চু পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬ ভোট। আর জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস পেয়েছেন ৬৬৬৫ ভোট। নির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তিতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন পেয়েছেন ৭৯৯৯ ভোট।

এ অবস্থা যে শুধু মেয়র প্রার্থীদের, তা নয়। ৫ ডজনেরও বেশি কাউন্সিলর প্রার্থীকেও জামানত হারাতে হয়েছে।

বরিশালের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকরাত মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘জামানত জব্দের আইন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য একই। তবে মেয়রের ভোটের হিসেব হবে ৩০টি ওয়ার্ডের মোট কাস্টিং ভোটের ওপর, আর কাউন্সিলরদেরটা হবে প্রতি ওয়ার্ডের মোট কাস্টিং ভোটের ওপর।’

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে বিসিসির ৩০টি ওয়ার্ডে ১১৮ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৪৭ জন এবং ৪১ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

অর্থাৎ জামানত বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছেন মোট ৬২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী।

সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে, আর একজনেরও জামানত হারতে হয়নি ৮, ৯, ১০ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

অপরদিকে সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড) সর্বোচ্চ ৫ জনের জামানত খোয়া গেছে, আর একজনও জামানত হারাননি সংরক্ষিত ৭, ৮, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে।

এ বিভাগের আরো খবর