ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা নারী মরদেহের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের দাবি, বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেন ওই যুবক।
নিহত নারীর নাম সালমা বেগম। তিনি খুলনা সরদরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম মো. শহীদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার জনসন রোডে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানান এসপি মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, রোববার রাতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে ওই নারীর গলায় ওড়না প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে।
পরে সিআইডির ক্রাইম সিনের সহায়তায় নারীর পরিচয় সনাক্ত করা হয়।
তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে সোমবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পশ্চিম মাসদাইর থেকে শহীদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যেভাবে হত্যা
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সালমার সঙ্গে শহীদুলের সাত থেকে আট বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। হত্যার এক দিন আগে সালমা খুলনা থেকে শহীদুলের বরিশালের হিজলাউ গ্রামের বাড়িতে যান। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সালমা জানতে পারেন, শহীদুল বিবাহিত এবং তার স্ত্রী বরিশালে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।’
‘এ তথ্য জানার পর সালমা প্রেমিক শহীদুলকে ফোন করে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সামলা ডিভোর্সি এবং তার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদুল নিহত সালমাকে ঢাকায় আসতে বলেন। ঢাকায় এসে সালমা রোববার বিকেল ৫টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদুলের সঙ্গে দেখা করেন। পরে রাত ১০টার দিকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সালমাকে কেরাণীগঞ্জের কোনাবাড়িতে নিয়ে যান।’
‘সেখানে শহীদুল জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে প্রথমে সালমাকে ধর্ষণ করেন। এরপর সালমার ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। মরদেহ যাতে সনাক্ত করা না যায়, সে জন্য পাশে থাকা ইটের টুকরা দিয়ে মুখ থেতলে চেহারা বিকৃত করে শহীদুল পালিয়ে যান।’