মাদক কেনাবেচার মাধ্যমে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের যে তথ্য সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, তা নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।
আবেদনে মাদক বেচাকেনার মাধ্যমে বছরে কোটি কোটি টাকার পাচার ঠেকাতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
আইন সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, এনবিআর, সিআইডিসহ ১২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সুবীর নন্দী।
‘মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে রয়েছে।
অবশ্য পাচার করা টাকার হিসাব অনুমানভিত্তিক, এটি করেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড। গত বৃহস্পতিবার আঙ্কটাড (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯টি দেশের মাদকসংশ্লিষ্ট অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক হিসাব তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
দুই মাসের মধ্যে দেশের শীর্ষ ড্রাগ ডিলারদের নাম ও ঠিকানা দাখিল করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।