বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আড়াইহাজার পৌরসভায় ভোট: ২ কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি

  • প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ   
  • ১২ জুন, ২০২৩ ১৬:০১

পৌর নির্বাচনের ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর ও শব্দর আলীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং মারামারি হয়েছে। এ সময় অবিস্ফোরিত দুটি ককটেল পাওয়া যায়।

পৌরসভার কৃষ্ণপুরা এলাকায় সোমবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর বাড়ির সামনে ওই ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাগেরচর মাদরাসা ভোটকেন্দ্রে ভোটার ও মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌর নির্বাচনের ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর ও শব্দর আলীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর বাড়ির সামনে থেকে অবিস্ফোরিত দুটি ককটেল পাওয়া যায়।

এর আগে নাগেরচর মাদরাসা ভোটকেন্দ্রের কয়েকজন ভোটার জানান, ভোট শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শরীফ ও তার লোকজন শার্টের কলার ধরে চর-থাপ্পড় মারেন। তারা নৌকায় ভোট না দেয়ার কারণ জানতে চায়।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী সুন্দর আলী ও তার লোকজন ৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের ভেতর ঢুকে জোর করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছে৷ বহিরাগতরা কেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে, মারধর করছে৷’

হাবিবুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ ও পৌর যুবলীগের নেতা শামীম মিয়া কেন্দ্রে সাধারণ ভোটার ও কর্মী-সমর্থকদের মারধর করেছে৷ আহত চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়৷’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকা প্রার্থী সুন্দর আলী। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনার খবর জানি না।’

৫ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিশা জাহান বলেন, ‘কেন্দ্রের ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি। এখানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সদস্যরা আছেন।’

এর আগে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবগুলো কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে৷ কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি৷ উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিচ্ছে৷ ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে টুকটাক কথা-কাটাকাটি হয়৷ পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে৷’

এ বিভাগের আরো খবর