বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফোনে ইউএনও সেজে প্রতারণা করতেন তারা

  • প্রতিনিধি, বগুড়া   
  • ১২ জুন, ২০২৩ ১৫:০৯

ডিবির ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা সাধারণত মোবাইল ফোনে ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের সচিবসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও পদবি ব্যবহার করতেন। এতে তাদের প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কাজটাও সহজ হতো। তারা ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, জামালপুর, লক্ষীপুর, টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।’

ইউএনওসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সেজে মোবাইল ফোনে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গাইবান্ধার সাঘাটা থেকে সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

দুপুরে বগুড়া ডিবির ইনচার্জ পরিদর্শক সাইহান ওলিউল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ জুন বগুড়া সদরের ইউএনও সেজে পুলিশকে বোকা বানিয়ে দুই হোটেল মালিকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় একটি প্রতারক চক্র। ওই ঘটনার পর থেকে তদন্তে নামে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোররাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। উভয়ই প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন কিশোর, যার বয়স ১৬। অপরজন সাঘাটা উপজেলার গাছাবাড়ীর পশ্চিম পাড়ার মো. তুহিন মিয়া (৩৫)।

তুহিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ জুন সকালে বগুড়া সদর থানার ডিউটি অফিসারের কাছে ইউএনও পরিচয় দেন তুহিন। ফোনে তিনি শহরের নামাজগড়ে একটি সমস্যার কথা জানিয়ে দায়িত্বরত পুলিশের সহায়তা চান। ইউএনও পরিচয় পাওয়ার পর ফোন নম্বর দিয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই জাহাঙ্গীর আলমকে তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন ডিউটি অফিসার। এএসআই জাহাঙ্গীর আলম সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাকেও ইউএনও পরিচয় দেন তুহিন। পরে ইউএনওর ভুয়া পরিচয়দানকারী ব্যক্তি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উপশহর এলাকার হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে দেয়ার নির্দেশ দেন। এমন নির্দেশনায় পুলিশ কর্মকর্তা হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিয়ে চলে যান।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতারক চক্রটি ভয়ভীতি দেখিয়ে শাহিন নামে এক হোটেল মালিকের কাছে থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। আর রবিউল নামে আরেক হোটেল ব্যবসায়ীর কাছে হাতিয়ে নেয় ৬ হাজার টাকা।

পরবর্তী সময়ে ঘটনাটি প্রতারণা বুঝতে পেরে পুলিশ সবাইকে সাবধান করে দেয়। আর জড়িতদের ধরতে তদন্তে নামে। তদন্তে একাধিক অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন তারা।

ডিবির ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা সাধারণত মোবাইল ফোনে ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের সচিবসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও পদবি ব্যবহার করতেন। এতে তাদের প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কাজটাও সহজ হতো। তারা ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, জামালপুর, লক্ষীপুর, টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বগুড়ার সদরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রোববার সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর