খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দুই সিটিতে সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। দুটি সিটির প্রায় ৮ লাখ ভোটার তাদের নগরপিতা নির্ধারণে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
এবারই প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দুই সিটি নির্বাচন কমিশনের মিলনায়তনে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কক্সবাজার পৌরসভার ভোটও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৪ জন। এ দুই সিটির ভোটাররা ৪১৫ কেন্দ্রে ভোট দেবেন, যেগুলোতে ৩ হাজার ৪৫৬টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনে ৩১টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি। ভোটকক্ষ রয়েছে ১৭৩২টি। ২ হাজার ৩১০টি ক্যামেরার মাধ্যমে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। ভোটকক্ষ ৮৯৪টি। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন ১ হাজার ১৪৬টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন ৪৩টি কেন্দ্রে ৩৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।
ইসির মিলনায়তনে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে ২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ২৩৫টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ২৮৭টি ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতি ডিসপ্লে ১০ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেট করে এভাবে ৪৫৮টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।