দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী যমুনা ছোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে আদালতকে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। এ সংক্রান্ত নথি উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটির আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট অরবিন্দ কুমার রায় আদালতকে এ তথ্য জানান। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করে দিয়েছে।
রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই তারিখ নির্ধারণ করে দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বাপাউবো’র আইন উপদেষ্টা অরবিন্দ কুমার রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যমুনা নদী নিয়ে যে প্রজেক্ট করা হয়েছে তাতে নদী ছোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই। এই নদী নিয়ে শত বছরের একটা ডেল্টা প্ল্যান রয়েছে। সেখানে নদীটি নিয়ে কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে। যেমন নদীতে ড্রেজিং ও ক্যানেলাইজড করা। আমরা আদালতকে দেখিয়েছি যে বর্তমানে নেয়া প্রকল্পে যমুনা নদী ছোট করার কোনো পরিকল্পনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর নদী খনন ও সংস্কারের যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনও এই প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং সোমবার আদেশের জন্য রেখেছেন।’
‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’ শিরোনামে ১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
রিটে এই পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ২ অনুসারে অসদাচরণ করেছেন অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ২১ মে হাইকোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা চায়। সেসঙ্গে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা এবং প্রকাশিত প্রতিবেদনটির সত্যতা কতটুকু তা জানতে চাওয়া হয়। ওই নির্দেশ অনুসারে রোববার আদালতে প্রকল্পের নথি উপস্থাপন করে বাপাউবো।