বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৯০ এমপির শপথের বৈধতা নিয়ে চার বছর পর আপিলে বিএনপির আইনজীবীরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১১ জুন, ২০২৩ ১৮:২৫

দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৫ দিন আগে শপথ নেয়া হয়েছে দাবি করে ২৯০ সংসদ সদস্যের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে রিট করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাখলেও এতোদিন শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত ২৯০ সংসদ সদস্যের শপথের বৈধতা প্রশ্নে রিট আবেদন খারিজ হওয়ার চার বছর পর পুনরায় সরব হয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। বিষয়টি নিয়ে তারা আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময় চাওয়ায় সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে বিষয়টি শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

২৯০ সংসদ সদস্যের পদে থাকার বৈধতা নিয়ে করা রিট ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে খারিজ করেছিল হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাখলেও শুনানির উদ্যোগ নেয়নি তারা।

চার বছর পর আবেদনটি শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করেন আবেদনকারীরা। রোববার সেটি আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টের কার্য তালিকায় আসে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এ বিষয়ে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আমরা তারিখ নির্ধারণের জন্য আবেদনটি উপস্থাপন করেছিলাম। অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চাওয়ায় আগামীকাল আবেদনটি ফের কার্য তালিকায় আসবে।

একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ জন সংসদ সদস্য ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি শপথ নেন। ‌এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচিত ব্যক্তিরা ওই বছরের ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। একই বছরের ২৯ জানুয়ারি ওই সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের মেয়াদ গণনা হবে সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে পাঁচ বছর। তাই দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি। দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৫ দিন আগে শপথ নেয়া হয়েছে দাবি করে এই ২৯০ সংসদ সদস্যের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল করেন রিটকারী আইনজীবী। কিন্তু শুনানির কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। চার বছর পর আবেদনটি শুনানির জন্য কার্য তালিকায় আনতে আবেদন করেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর