‘জামায়াতের সমাবেশ থেকে আস্ফালন করে যেভাবে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, এগুলো আসলে বিএনপিরই বক্তব্য। ২০১৪ সালে তারা যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, সেটারই ইঙ্গিত তারা দিয়েছে’- তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেছেন।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: জুলিও কুরি ও এশীয় শান্তি সম্মেলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘জোটের প্রধান শরিক জামায়াতকে দিয়ে বিএনপি এই কথাগুলো বলিয়েছে। তাদের সুযোগ দিলে তারা কী করতে পারে সেটি তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে।’
১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বন্দী করতে, গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরাতেই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে ২০০৮ সালের ১১ জুন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন। সুতরাং দিনটি শুধু ব্যক্তির মুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সহযোগী সম্পাদক এ কে এম শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে, পরে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেনা সমর্থিত সেই সরকার দুর্নীতি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা দখল করলেও নিজেরাই দুর্নীতি, অপশাসনে লিপ্ত হয়। তখন তাদের বিরুদ্ধে সাহস করে কেউ কথা বলেনি। শেখ হাসিনাই সাহস করে কথা বলেছেন। সেই কারণে তার মুখ স্তব্ধ করতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’