মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি কারও কাছে মাথা নত করে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে রোববার মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩-এর সেরা মেধাবী পুরস্কার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা, মানে আমি মনে করি যে, এই যে মেধাবীদের খুঁজে বের করা হলো এবং যাদের আমরা বৃত্তি, উপবৃত্তি দিচ্ছি, তাদেরকে আবারও অভিনন্দন জানাই…একচল্লিশের বাংলাদেশ, যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে, স্মার্ট বাংলাদেশ। অর্থাৎ স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট সরকার, অর্থাৎ, স্মার্ট পিপল, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি।’
বৃত্তিপ্রাপ্তদের উৎসাহ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “আজকে আমার ছেলে-মেয়েরা যারা, এরাই তো ভবিষ্যৎ। একচল্লিশে তারাই তো আমার মতো করে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা বড় বড় উচ্চ পর্যায়ে যাবে; দেশ চালাবে। এখানে থেমে গেলে চলবে না। আমি আরও কর্মসূচি তৈরি করে রেখে গেলাম। সেটা হচ্ছে ২১০০ সাল। ডেল্টা প্ল্যান (বদ্বীপ পরিকল্পনা)। সেটাও করে দিয়েছি।
“কাজেই আমি মনে করি যে, আমাদের বাংলাদেশকে জাতির পিতা বলেছিলেন সাতই মার্চের ভাষণে, ‘কেউ দাবায়া রাখতে পারব না।’ আর কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।”
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আবার ধন্যবাদ জানাই যে পিতা-মাতা, অভিভাবকবৃন্দকে। আপনারা গর্বিত সন্তানের গর্বিত পিতা-মাতা। আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরকে। আমি সকল ট্রাস্ট্রের সদস্যদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকেই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, অভিনন্দন জানিয়ে একটা কথাই বলতে চাই, ‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে সরাব জঞ্জাল। এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি। নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার।’ কথাগুলো বলেছিলেন খুব অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করেছিল কবি সুকান্ত। তারই ভাষায় এটা বলে গেলাম।”
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা মনে রাখতে হবে যে, দেশটাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে, আত্মসম্মান নিয়ে চলবে। কারও কাছে মাথা নোয়াব না—এটাই হচ্ছে আমাদের প্রতিজ্ঞা।
‘আমাদের ছোট্ট সোনামনিদের কাছেও আমার সেটাই যে, সবসময় মাথায় রাখতে হবে, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। কারও কাছে মাথা নত করে আমরা চলি না। মাথা উঁচু করে আমরা চলব।’