বিএনপিকে নির্বাচনে এসে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্বাচনী খেলায় আওয়ামী লীগ খেলে গোল দিতে চায়। কিন্তু বিএনপি চায় খেলা থেকে পালিয়ে যেতে।’
শনিবার চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমদ ও বোয়ালখালী উপজেলার প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল আলম স্মরণে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দয়া করে নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন, ১০ শতাংশ ভোট পান কিনা সেটি পরখ করে দেখুন। আগামী নির্বাচনে আমরা ওয়াকওভার চাই না। আপনারা নির্বাচনী খেলায় আসুন, আমরা খেলে বিজয় লাভ করতে চাই।’
চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির এখন দুই ভীতি। একটি হচ্ছে নির্বাচন, আরেকটি হচ্ছে জনগণ। সেজন্য বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
‘বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির মাথা আরও বেশি খারাপ হয়েছে। কারণ এখন বিএনপি আর নির্বাচন প্রতিহত এবং বর্জন করার কথা বলতে পারবে না। তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। বাস্তবে আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে তারাই ১০ শতাংশের বেশি ভোট পাবে না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা আবার বের হয়ে জনগণের ওপর হামলা পরিচালনা করবে। তারা জানে নির্বাচনে জিতবে না, এখন তারা গণ্ডগোল লাগিয়ে দেশে একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করবে। কিন্তু জনগণ তাদেরকে সেই সুযোগ আর দেবে না।’
ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে অন্যদের পার্থক্য আছে। সেই পার্থক্য প্রয়াত মোসলেম উদ্দিন আহমদ ও নূরুল আলমের জীবন নিয়ে আলোচনা করলে আমরা দেখতে পাই। এখন অনেকেই রেডিমেড নেতা হতে চান, টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনতে চান।
‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি কখনও টাকার কাছে বিক্রি হয় না, হবে না এবং বিক্রি হতে দেব না। রেডিমেড নেতা হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ নয়। সেখানেই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির পার্থক্য।’
এলাকা নিয়ে প্রয়াত মোসলেম উদ্দিন আহমদের অনেক স্বপ্ন ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তার মধ্যে অন্যতম কালুরঘাট সেতু ইতোমধ্যে নীতিগতভাবে একনেকের প্রাথমিক স্তর অনুমোদিত হয়েছে, চূড়ান্ত অনুমোদনও হবে। সড়ক এবং রেল দুটি মিলেই একটি সেতু হবে। এই সেতুর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজেই গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।’
বোয়ালখালী আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি এস. এম. আবুল কালাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।