রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও হোল্ডিং ট্যাক্স কমানোসহ ৩৬ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
শনিবার নগরীর গণকপাড়ায় মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন লাঙ্গল প্রতীকের এই মেয়র প্রার্থী।
এ সময় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি অধ্যাপক আবুল হোসেন, সদস্য সচিব সামসুদ্দিন রেন্টু এবং মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মিন্টু।
সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘জাতীয় পার্টির শাসনামলে রাজশাহীবাসী ব্যাপক উন্নয়ন দেখেছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রাজশাহী সিটিকে দেশের মধ্যে মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তোলা আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। নতুন সব স্বপ্ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নগরবাসীর দোয়া, সহযোগিতা ও ভোট প্রার্থনা করছি।’
নেতার পদবি ঘোষণা নিয়ে হট্টগোল
এদিকে ইশতেহার ঘোষণা শেষে উপস্থিত নেতাদের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় একে অপরের ওপর চড়াও হয়। এই হট্টগোলের মাঝেই সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী স্বপন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক আবুল হোসেনের পরিচয় তুলে ধরার সময় তাকে পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পরিচয় দেয়া হয়নি। এ নিয়ে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং অনুষ্ঠানের পরিচালক মহানগর জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মিন্টুর ওপর চড়াও হন। এ সময় সালাউদ্দিন মিন্টু বলে ওঠেন, ‘আপনি যে উপদেষ্টা তার কোনো কাগজ আছে? কাগজ দেখান।’
এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান জাতীয় পার্টির প্রার্থী স্বপন।
হট্টগোল সম্পর্কে চানতে চাইলে সালাউদ্দিন মিন্টু বলেন, ‘জেলার সভাপতি আবুল হোসেন নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা দাবি করেন। তিন্তু তার কোনো কাগজ নেই। তাহলে তাকে কেন আমরা উপদেষ্টা বলব?
‘অনুষ্ঠানটি আমি উপস্থাপনা করছিলাম। তিনি তার পদবি দাবি করছিলেন। অন্য কিছু না। এখন চিঠি ছাড়া আমরা তো কাউকে উপদেষ্টা বলতে পারি না। এ নিয়েই হট্টগোল।’
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘ইশতেহার ঘোষণার সময় কিছু হয়নি। ইশতেহার ঘোষণার পর আমাদের জেলা সভাপতির সঙ্গে পইব নিয়ে আমাদের এক কর্মীর গ্যানজাম হয়। যা হয়েছে এটা বড় কিছু না।’