বিএনপি অগ্নি-সন্ত্রাস করতে জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে তাদের আসল মুরব্বি বিএনপি। এর মানে তারা আবারও অগ্নি-সন্ত্রাস ও ভাঙচুরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর নিকুঞ্জ খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম অবান্তর কথা বলে যাচ্ছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা তো তাদের ডাকছি না। তত্ত্বাবধায়ক মানলে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করলে তারা কার সঙ্গে বসবে? তারা বাতাসের সঙ্গে সংলাপ করবে?
‘দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পার্লামেন্টের বিলুপ্তি- বিএনপির মাথা থেকে এই তিন ভূত নামাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পায় না মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। অপকর্ম করলে বিএনপিকে এর মূল্য দিতে হবে।
বিএনপি সমাবেশের নামে পিকনিক পার্টি করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আবার পদযাত্রা করবে। তাদের শরিক হলো ৫২ দল। ভেতরে ভেতরে অনেকেই ভেগে গেছে। এখন কত দলের জগাখিচুড়ি ঐক্য। যে ঐক্যে নেতা নেই, মানুষ নেই- সে আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নেবে না।
‘আন্দোলনে নেতা লাগে। বিএনপির দুই নেতাই দণ্ডিত। তাদের একজন হাসপাতালে, অন্যজন পালিয়ে লন্ডনে। প্রতিদিন সেখান থেকে অনলাইনে ফরমায়েশ দিচ্ছে। আদালতের রায় না মেনে টেমস নদীর ওপার থেকে ফরমায়েশ পাঠাচ্ছে।’
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণআন্দোলন চাইলে সৎ সাহস থাকলে আসুন, রাজপথে আসুন, মোকাবিলা হবে- কে হারে, কে জেতে। আমরা মাঠে থাকব, মোকাবিলা করব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভবিষ্যদ্বাণী করছেন যে আওয়ামী লীগ ১০ ভাগ ভোটও পাবে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তারা বলেছিল- আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। সে নির্বাচনে তারাই ৩০টি আসন পেয়েছে।’
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বুকে যদি এতোই বল থাকে তাহলে নির্বাচনে আসেন, খেলা হবে। আসেন খেলার মাঠে। খেলার মাঠে না এসে ফাউল শুরু করেছেন। লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ খেলার মতো খেলতে নামলে আপনাদের পালানোর পথ থাকবে না।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।