রাজধানীর বাড্ডা থানার সাতারকুল এলাকায় শুক্রবার রাতে অপু ইসলাম নামের শ্রমিক লীগ নেতাকে পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
অপু সাতারকুল এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
অপু এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। তার বড় ভাই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস শাকুর জানান, অপু ইসলামকে একটি ভবনের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে পরে লিফটের ফাঁকা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়া হয়। গতকাল রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
অপুর খালাতো ভাই দীপু হাসান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। বৃষ্টির কারণে রাস্তার ডান পাশে পানি জমে থাকায় কে কোন পাশ দিয়ে যাবে, সেটা নিয়ে তাদের তর্কাতর্কি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে তাদের ভাড়া বাসার সাত তলার ছাদে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মারপিট করে লিফটের ফাঁক দিয়ে নিচে ফেলে দেন তারা।
দীপু জানান, অপুকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ৯ শিক্ষার্থীসহ ১৩ জনকে আটক করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।