বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলাধুলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ জুন, ২০২৩ ২০:৩৭

চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই দেশে ফুটবলের উৎকর্ষ সাধন হবে। একসময় আমরা ফুটবলের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হতে পারব বলে আমি মনে করি। সেভাবেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা সারাদেশে অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের খেলাধুলার ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই দেশে ফুটবলের উৎকর্ষ সাধন হবে। এক সময় আমরা ফুটবলের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হতে পারব বলে আমি মনে করি। সেভাবেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।

রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩’-এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস

টুর্নামেন্টের ফাইনালে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ইউনিয়ন ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে প্রাইজমানি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চা করলে মানুষের মেধা বিকশিত হয়। একইসঙ্গে দেশের মানুষ উজ্জীবিত হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ বাড়ে। এই আয়োজন যেন এখানেই থেমে না যায়।

‘এ ধরনের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় বাংলাদেশ অ্যাসিয়েশন অফ ব্যাংকসকে (বিএবি) ধন্যবাদ জানাচ্ছি। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স-আপ দলকেও অভিনন্দন জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফুটবলের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন। আমার দাদাও প্লেয়ার ছিলেন। আমার ভাই শেখ কামাল ছিল আধুনিক ফুটবলের উদ্যোক্তা। কাজেই সেই দৃষ্টিতে দেখলে ফুটবলের সঙ্গে আমার অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। যে কারণে ফুটবল খেলাকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দেই। আমরা সরকারে আসার পর থেকে খেলাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা উদ্যোগ নিয়ে পুরো বাংলাদেশে মিনি স্টেডিয়াম করে দিয়েছি।

‘আমি বলেছি- সেখানে সারাবছর যেন খেলাধুলা হয়। একইসঙ্গে আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকে আরও গুরুত্ব দিয়ে চর্চা করা হয়। আমাদের ছেলেমেয়েরাও যাতে পড়াশোনার পাশাপাশি বেশি বেশি খেলাধুলা করে সেটি-ই আমি চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট ভালো ছিলাম। দুর্ভাগ্যের বিষয়, কোডিভ অতিমারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমাদের সবার একটু কষ্ট হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী মানুষ কষ্টে আছে।

‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। গত কয়েক দিন তীব্র গরমে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছিল। অবশেষে বৃষ্টি আমাদের জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশ সব দিক থেকে বিশ্বের সেরা হবে। খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি-অগ্রগতিতে দেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মর্যাদা নিয়ে চলবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

‘আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে সবসময় মাথা উচুঁ করে আমরা চলব। এই আত্মবিশ্বাস নিশ্চয়ই আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে থাকবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো অসাধ্য সাধন করা যায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য একটা স্টেডিয়ামের আবদার করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই স্টেডিয়াম করে দেবো। পূর্বাচলে ইতোমধ্যে ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে। সেটির পাশেই আরেকটি ফুটবল স্টেডিয়ামসহ স্পোর্টসের জন্য যাতে একটা স্টেডিয়াম হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করব।’

আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন তীব্র দাবদাহের পর প্রশান্তির বৃষ্টি আমাদের খেলার পরিবেশ বদলে দিয়েছে। আমরা অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই টুর্নামেন্ট সম্পন্ন করতে পেরেছি।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা ও সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। এই টুর্নামেন্ট প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণ করায় তা সব খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার মধ্যে সাহস এবং উদ্দীপনা জুগিয়েছে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে টুর্নামেন্টের নামকরণ দেশের খেলাধুলায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে।

‘তবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন প্রমাণ করে তারা শুধু দেশের অর্থনীতি নয়, খেলাধুলায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও সবসময় কাজ করে যাবে।

বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ছেলেদের জন্য আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়েছে। মেয়ে কর্মকর্তাদের নিয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আন্তঃব্যাংক ব্যাডমিন্টন বা টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। সেই টুর্নামেন্টও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে হবে। উনি আমাদের অনুমতি দিয়েছেন।

‘এই টুর্নামেন্টে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের একটি করে বোনাস দেয়ার জন্য ব্যাংকের চেয়ারম্যানদেরকে বলেছিলাম। এমনকি যেসব কর্মকর্তা খেলায় অংশগ্রহণ করেননি তাদেরকেও অর্ধেক বোনাস দেয়ার কথা বলা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল, সদস্য সচিব ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, সেনা ক্রীড়া বোর্ডের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৩৪ ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর