চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪২টি স্বর্ণের বার এবং অলঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। এ সময় আটক করা হয়েছে ৫ চোরাকারবারিকে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জীবননগর উপজেলার পাতিলা গ্রাম, হাসাদহ বাসস্ট্যান্ড ও জীবননগর পৌর এলাকার বাজারপাড়ায় ওই পৃথক অভিযান চালানো হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন প্রায় ৫ কেজি, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা।
জীবননগরের হাসাদহ বাসস্ট্যান্ডে অভিযানে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণ বার ও আটককৃতরা। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ ও বিজিবি জানায়, স্বর্ণ চোরাচালান চেষ্টার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে জীবননগর উপজেলার পাতিলা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করে দুই ব্যক্তি। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনের আসনে বসা ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পড়ে গেলে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ১৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। আটক সেলিম হোসেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের জাফর আলীর ছেলে।
অপরদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবননগর পৌর এলাকার বাজারপাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় এক চোরাকারবারি। পরে ওই মোটরসাইকেল তল্লাশি করে দেড় কেজি ওজনের ১২টি স্বর্ণের বার, একটি চেইন ও দুটি ব্রেসলেট উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া স্বর্ণ চোরাচালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকারসহ চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ১৪টি স্বর্ণের বার। যার ওজন প্রায় আড়াই কেজি। আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫১ টাকা।
আটককৃতরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জিহাদ মোল্লার ছেলে ওবাদুল মোল্লা, তমসুল মোল্লার ছেলে মাহাবুব হাসান, ইনসান কাজীর ছেলে রিয়াজ কাজী এবং একই জেলার নড়াগাতী উপজেলার থাশিয়ান গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে শেখ সোহেল রানা।
ঝিনাইদহ মহেশপুর-৫৮ বিজিবির পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।