টানা তাপপ্রবাহের পর সকালের শুরুটা হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দিয়ে। সামান্য বৃষ্টিতে প্রকৃতিতে এসেছে হালকা ঠান্ডা বাতাসের পরশ। তবে গরম এখনও পুরোপুরি কমেনি, কার্যত কমার পথে। গরম আরও কমবে শিগগিরই। সঙ্গে হতে পারে ভারী বৃষ্টিও।
সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার আগের দিন সন্ধ্যায় এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে কর্মজীবী নগরবাসীর চোখে-মুখে কিছুটা স্বস্তির ছাপ মিলেছে। টানা গরমে অফিসে যাওয়া-আসার যে কষ্ট তা অন্তত দুটো দিন নেই, এর সঙ্গে যুক্ত হলো ঠান্ডা পরিবেশ।
রেকর্ড করার মতো খুব বেশি না হলেও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানেই দিনভর অল্প করে বৃষ্টি পড়েছে বলে খবর এসেছে। সঙ্গে বইতে শুরু করেছে কিছুটা শীতল বাতাসও। অবশ্য রাজধানীবাসীকে যানবাহনের জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বলে অল্প পরিমাণের বৃষ্টি কিছুটা ভোগান্তি যোগ করেছে তাদের জন্য।
এ অবস্থায় তাপমাত্রা আরও কমবে, গরম কমার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায়, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পার।
এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সিলেট জেলাসহ ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে ৭৪ মিলিমিটার। ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।