বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটে পোস্টার নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না প্রার্থীরা

  •    
  • ৮ জুন, ২০২৩ ১০:০৯

সিলেট সিটি করপোরেশনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার অপসারণে অভিযান চালানো হবে।’

সিলেট নগরের জিন্দাবাজার মোড়। সড়কের ওপর বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ঝুলে আছে সিটি নির্বাচনের বিভিন্ন প্রার্থীদের পোস্টার। প্রায় সবগুলো পোস্টারই পলিথিনে মোড়ানো, লেমিনেটিং করা। অথচ লেমিনেটেড পোস্টার ছাপানো ও প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে উচ্চ আদালতের। সেই নিষেধাজ্ঞা মানছেন না সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের প্রার্থীরা।

আগামী ২১ জুন সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৭, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। ২ জুন থেকে এই সিটিতে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক প্রচার। ওই দিন থেকেই ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নগর।

বৃষ্টিতে পোস্টার নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় বেশির ভাগ প্রার্থীই পোস্টার লেমিনেটিং করে টানিয়েছেন। ফলে কেবল জিন্দাবাজার মোড় নয়, নগরের প্রতিটি সড়ক এমনকি, পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোও ছেয়ে গেছে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টারে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা। এ ছাড়া নগরজুড়ে ঝুলে আছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পিভিসি ব্যানার।

২০২০ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে এক আইনজীবীর উচ্চ আদালতে রিট করেন। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশে যেকোনো নির্বাচনী প্রচারে লেমিনেটেড পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সারা দেশে লেমিনেটেড পোস্টার তৈরি ও প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।

এই নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সমন্বয়ক শাহ শাহেদা আক্তার বলেন, ‘এসব পোস্টারের বেশির ভাগই ছিঁড়ে আশপাশের খাল বা ড্রেনে জমা হবে। আর পলিথিন পচনশীল না হওয়ায় এগুলো পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি নগরে জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি করবে। তাই পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার প্রদর্শন বন্ধে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে কঠোর হওয়া প্রয়োজন।’

নগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে লেমিনেটিং করা পোস্টার টানিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী।

তিনি বলেন, ‘এখন বৃষ্টির মৌসুম। ঝড়-বৃষ্টিতে কাগজের পোস্টার ছিঁড়ে যায়। তাই লেমিনেটিং করা পোস্টার টানিয়েছি, তবে এ ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমার জানা নেই। নির্বাচন কমিশন থেকেও লেমিনেটেড পোস্টার টানানোর ব্যাপারে কোনো আপত্তি জানানো হয়নি।’

নগরজুড়েই লেমিনেটিং করা পোস্টার টানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাহমুদল হাসান। লেমিনেটেড পোস্টারের বিষয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানা নেই দাবি করে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব প্রার্থীকে বলে দেয়া উচিত ছিল।’

মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ‘নির্বাচন শেষে আমার পোস্টারগুলো আমি নিজেই অপসারণ করে নেব যাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয়।’

প্রায় সবাই পোস্টার পলিথিনে মুড়িয়ে টানালেও ব্যতিক্রমও কয়েকজন। তেমনই একজন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল করিম চৌধুরী কিম। তিনি নিজেও পরিবেশকর্মী। বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। পরিবেশ দূষণের কথা চিন্তা করে পোস্টার পলিথিনে মোড়াননি তিনি।

কিম বলেন, ‘পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকর পলিথিন। বর্ষার সময় এসব পরিত্যক্ত পলিথিন জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার আর্থিক ক্ষতি ও কষ্ট হলেও নির্বাচনী পোস্টার পলিথিনে মোড়াব না।’

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার অপসারণে অভিযান চালানো হবে।’

এখনও পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার নজরে পড়েনি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর