বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অসাধু লোকজন ফেসবুক-ইউটিউবে বাজে কথা বলার চেষ্টা করছেন: মমতাজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৭ জুন, ২০২৩ ১২:০৪

মমতাজ বলেন, আমি বলব, আপনার যারা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা দেন; আমি সঠিক সময়ে সঠিক কথাই বলেছিলাম। সাময়িক এই সমস্যার কথা কেউ কিন্তু জানতাম না। সারা বিশ্বের অবস্থার কারণে আমরা সমস্যায় পড়ে গেছি।

সংসদে বিদ্যুৎ ‘ফেরি করা’ নিয়ে তার দেয়া বক্তব্য ঘিরে অসাধু লোকজন ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করছেন জাতীয় সংসদে মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর-সদরের আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।

মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেন তিনি। একই সঙ্গে দেশবাসী বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় ধৈর্য ধরারও আহ্বান জানান এই সংসদ সদস্য।

মমতাজ বলেন, আমি সংসদে দু একটি কথা বলেছি। সেই সুবাদেই দু একটি কথা ধরে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন কেউ কেউ, এই কষ্টের মধ্য দিয়ে। বিদ্যুৎ থাকেছে না। সবাই এই কষ্ট পাচ্ছে। আপনারা জানেন সারা বিশ্বের কী অবস্থা, যুদ্ধ গেল। এটা আমাদের অনেক সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। বড় বড় দেশই হিমশিম খাচ্ছে। সরকার চেষ্টা করছে, আমরা করছি।

এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি কেন বলেছিলাম সংসদে, আপনারা তো জানেন এটা মিথ্য কথা নয়। বিদ্যুৎ যে হারে সরকার উৎপাদন করে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের লাইন দিয়েছে; সেই প্রশংসাই করেছি। আমার নির্বাচনি এলাকায় আগে ৩০ ভাগ ঘরে বিদ্যুৎ ছিল আমি দায়িত্ব নেয়ার পর শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি।

তিনি বলেন, সে জন্য কিন্তু সংসদে বলেছিলাম। যেভাবে লাইন দিয়েছি, বিদ্যুৎ দিয়েছি। সেটাই সংসদে বলা হয়েছিল। সেটাকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, ভুলভাবে উপস্থাপন করে অনেকেই অসাধু কিছু লোকজন খামাখাই দুটি বাজে কথা ফেসবুক ইউটিউবে বলার চেষ্টা করছেন।

মমতাজ বলেন, আমি বলব, আপনার যারা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা দেন; আমি সঠিক সময়ে সঠিক কথাই বলেছিলাম। সাময়িক এই সমস্যার কথা কেউ কিন্তু জানতাম না। সারা বিশ্বের অবস্থার কারণে আমরা সমস্যায় পড়ে গেছি।

তিনি বলেন, সরকার কিন্তু চেষ্টা করছে। আপনারা জানেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসব নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেছেন। সংসদে আলোচনা হচ্ছে। যে সমস্যাটা এ মুহূর্তে আছে, এটা সাময়িক। সরকার চেষ্টা করছে সাময়িক এ সমস্যা কাটিয়ে আমরা যেন আগামীতে বিদ্যুতের একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারি।

মমতাজ বলেন, একসময় এলাকায় গেলে গ্রামের মা-বোনেরা এসে বলতেন- আপা, কিছু চাই না। আমাদের বিদ্যুতের লাইন দেন, মিটার দেন। মিটারের অভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এই যে একটা সংকট ছিল তখন, সেটা কিন্তু আমরা সমাধান করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। মানুষ তখন খুশি হয়েছিল। সেজন্য সংসদে বলেছিলাম, মানুষ বিদ্যুৎ চাইতো। একসময় এ চাওয়ার ব্যাপারটা আর থাকবে না। সরকার যেভাবে বিদ্যুতের লাইন দিচ্ছে, উৎপাদন করছে, ঘরে ঘরে মিটার পৌঁছে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এখন কিন্তু সত্যিকার অর্থে গ্রামে গেলে কেউ বলেন না আপা, দুইটা মিটার দেন, পাঁচটা মিটার দেন। মিটার দেওয়ার জায়গা আসলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। এটাই কিন্তু বাস্তব। আর সেই কথাটাই সংসদে আমি বলেছিলাম।

মমতাজ বলেন, আমি বিনীতভাবে বলবো- আপনারা জ্ঞানী মানুষ হয়েও ভুল ব্যাখ্যা দেন, বাজেভাবে উত্থাপন করেন, দেখেন আমার কথার সত্যতা আছে কি না? আমি সঠিক সময়ে সঠিক কথাই বলেছিলাম। সাময়িক এ সমস্যা হবে এটা আপনি-আমি কেউ জানতাম না।

তিনি বলেন, আমরা কি জানতাম পাকিস্তান শ্রীলঙ্কায় আজ এই অবস্থা হবে?আমরা জানতাম না। আমরা অনেক কিছুই জানতাম না। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আমরা কী জানি। যখন আমি বলেছি তখন বিদ্যুতের অবস্থা এত ভালো ছিল। মানুষ খুশি ছিল। এখন এই সমায়িক সমস্যাকে ধৈর্যর সাতে মোকাবিলা করতে হবে। সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। কীভাবে বিদ্যুতের খরচ কমানো যায় সে উদ্যোগ নিতে হবে।

মমতাজ বলেন, কাদা ছোড়াছুড়ি করে লাভ নেই। অশান্তিই বাড়বে। ফেসবুকে একজন বলছে, মমতাতের বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। এগুলো মিথ্যাচার প্রোপাগান্ডা। শুধু শুধু মানুষকে হয়রানি, ছোট করা। অনুরোধ করব, মিথ্যার আশ্রয়-প্রশয় কেউ দেবেন না। ধৈর্য ধরুন। নিশ্চয়ই খুব তাড়াতাড়ি এই কষ্টের থেকে মুক্তি পাব।

সম্প্রতি দেশজুড়ে বেড়েছে লোডশেডিং। তীব্র তাপপ্রবাহ এই দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়েছে। এ অবস্থাতে সংসদে এক সময় দেয়া মমতাজের বক্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনা।

মমতাজ সংসদে দাঁড়িয়ে ওই বক্তব্যে বলেছিলেন, আমি যখন সংরক্ষিত আসনের এমপি ছিলাম। সে সময় এতগুলো কাগজ চলে আসতো যে বিদ্যুৎ চাই বিদ্যুৎ চাই। আমি সে সময় বলতাম, বিদ্যুতের একদিন এমন অবস্থা শেখ হাসিনা করবেন, ফেরিওয়ালারা যেমন ঘুরে আর বলে চুড়িয়ালা রাখবেন নাকি ভাই, ওইরকম বিদ্যতের অবস্থা আমাদের হবে, ঘুরতে হবে; বিুদ্যৎ রাখবেন নাকি বিদ্যুৎ। তবু কাস্টামার খুঁজে পাব না, গ্রাহক খুঁজে পাব না। আজ কিন্তু তাই হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর