কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলা সদর বাজারে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষ দুপুরেও পুরোপুরো থামেনি। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে মহাসড়কে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও তার বিরোধী পক্ষ চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কিছুদিন। মিজানুরের পক্ষ মঙ্গলবার একটি শো-ডাউনের আয়োজন করে উপজেলায়।
সকালে শো-ডাউন ঠেকাতে মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন মুজিবুল হকের অনুসারীরা। এক পর্যায়ে সদরে মিজানুরের সমর্থকরা শো-ডাউন শুরু করলে ধাওয়া দেন মুজিবুল হকের সমর্থকরা। এ সময় সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পৌনে এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সরেজমিনে সকাল ১০টার কিছু সময় পর দেখা যায়, মহাসড়কের মাঝে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে অর্ধশত লোকের দুইটি দল। প্রত্যেকের হাতে লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র। সংঘর্ষের সময় আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন। দুর্ভোগে পড়েন নারী শিশুসহ হাজারো যাত্রী।
চৌদ্দগ্রাম বাজারের মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেও এমন পরিস্থিতি ছিল।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বরাতে জানা যায়, বিদ্রোহীদের শো-ডাউনে যেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা-কর্মীরা আসতে না পারেন সেজন্য মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চালানো হয়। এতে প্রাইভেট, মাইক্রো, বাস, ট্রাক, পিকআপ ও অ্যাম্বুল্যান্সে তল্লাশি করা হয়।
মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ‘চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানজট রয়েছে। আমরা নিরসনের চেষ্টা করছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া টিপু নিউজবাংলাকে ২৩ জন আহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।