জ্বালানি সংকটে দেশের দেশের বৃহত্তম পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সারাদেশে চলছে ধারাবাহিক লোডশেডিং। আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটের ফলাফলে এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।
সোমবার সকালে নগরীর মিস্ত্রীপাড়া বাজার এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের ব্রিফ দেন তিনি।
এসময় খালেক বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তীব্র লোডশেডিং চলছে। ফলে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষের জীবনযাপন। আমাদের নির্বাচনী প্রচারও এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভোটেও এর (লোডশেডিং) নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
তবে দেশের বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু।
সোমবার সকালে নগরীর ফুল মার্কেট এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ভয়াবহ খারাপ। খুলনাবাসী ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। ভোট চাইতে গেলে ভোটাররা বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলছেন। তারা বলছেন, লোডশেডিং থাকলে গরমে মারা যাবেন।
‘বিদ্যুৎ নিয়ে দেশে ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে, সে কারণেই এমন লোডশেডিং হচ্ছ। একইসঙ্গে তীব্র গরম পড়ায় মানুষের বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’
দেশে কেন বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খারাপ হলো, এ বিষয়ে সরকারকে জবাব দিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি।
জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে বিদ্যুতের সমস্যা ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ যদি না থাকে, তাহলে আমাদের দেশে অনেক বড় ক্ষতি হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মিল কলকারখানা ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে।’