ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া মাদ্রাসাছাত্র আমানের সন্ধান মেলেনি নয় দিনেও।
গত ২৮ মে রোববার বিকেল ৫টার দিকে মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয় আমান।
নিখোঁজ হওয়া ১০ বছর বয়সী মো. আমান উল্লাহ রাজাপুর উপজেলা সদরের সমবায় আশরাফুল মাদারিস নূরানী, হাফিজি ও কওমী মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে হাফিজি পড়তো। তার বাড়ি গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামে।
সন্তান নিখোঁজের তথ্য জানিয়ে গণমাধ্যমকে আমানের বাবা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে গত ২৮ মে রোববার বিকেল ৫টার দিকে মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোজাখুঁজির পরে তাকে না পেয়ে ৩ জুন শনিবার রাতে রাজাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মনিরুল আমার ছেলেকে মারধর করেছে। সে কারণেই ভয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু ছেলে বাড়িতেও যায়নি।’
মনিরুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষক মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমানকে পড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। মারধর করিনি, আমার ক্লাসে কোনো বেত বা লাঠি নেই।’
মাদ্রাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৮ মে সকাল ৮টার দিকে ১৩ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম নামে এক ছাত্র না বলে বাড়িতে চলে যায় এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় সে মাদ্রাসায় আসে। ওই সময় মাদ্রাসায় বিরতি থাকায় ছেলেটি ক্লাসে না ঢুকে বাহিরে খেলাধুলা করেছে। তখন তার সাথে আমান নামের ছাত্রটাও ছিল। ওরা কেউই সন্ধ্যার পর মাদ্রাসায় না আসায় আমি উভয়ের পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।’
রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, আমান উল্লাহ নামের ১০ বছর বয়সী শিশুটি নিখোঁজ উল্লেখ করে ছেলেটির বাবা আব্দুল্লাহ গত ১ দিন আগে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে, যা সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ছেলেটির সন্ধান পেতে কাজ করছে পুলিশ।