বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি দুরভিসন্ধিমূলক: ১৪ দল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ জুন, ২০২৩ ২১:৩৬

জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, ‘১৪ দল মনে করে, যারা নির্বাচনকে বিভিন্ন অজুহাতে বানচাল করতে চায়, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি সহায়ক হতে পারে।’

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণাকে দুরভিসন্ধিমূলক বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, ১৪ দলীয় জোট মনে করে এই ভিসা নীতি অনাকাঙ্ক্ষিত, যা কারও পক্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে।

রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে রোববার ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন। জোটের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিসহ দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আমু বলেন, ‘সংবিধানের প্রতিটি প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমরা একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো হস্তক্ষেপ আমরা কামনা করি না।’

আপনারা ভিসা নীতির সমালোচনা করছেন। অথচ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে তাদের টার্গেট করে এটা করা হয়নি। এমন এক প্রশ্নে আমু বলেন, ‘আমরা ভিসা নীতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে করি। আরেকটা কথা হলো- এটা ১৪ দল, আওয়ামী লীগের মিটিং না।

‘মনে রাখবেন, আমরা রাবার স্ট্যাম্প না। এখানে আরও ১৩টি দল আছে। ১৪ দল যেটা ফিল করে সেটাই বলবে। অন্য দল কে কী বলবে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমাদের আলোচনায় যেটা আসবে সেটা আমরা প্রকাশ করব।’

জোটের মুখপাত্র বলেন, ‘১৪ দল মনে করে, যারা নির্বাচনকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বানচাল করতে চায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের জন্য এটা (ভিসা নীতি) সহায়ক হতে পারে। যদি অন্য কোনো দেশের সন্দেহ থাকে, তাহলে তারা বসে সংবিধানের ভেতরে কোথায় কোন ফাঁকফোকর আছে সেটা বিবেচনা করুক। সেগুলো দেখুক, আলোচনা করুক।

‘কিন্তু সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হতে হবে। সংবিধানে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, অন্য কোনো উপায়ে আঘাত আসুক এটা আমরা চাই না।’

সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য ১৪ দলীয় জোট কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে জোটের মুখপাত্র বলেন, ‘যদি জনগণের ওপর আস্থা থাকে, সংবিধানভিত্তিক নির্বাচনে আস্থা থাকে তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাই। কোনো দলের পক্ষে জনস্রোত থাকলে, সেই স্রোতের বাইরে প্রশাসনও যেতে পারে না। সেদিকেই নির্বাচন ধাবিত হয়।’

বৈঠকে দ্রব্যমূল্য বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৪ দল। জোটের পক্ষ থেকে দ্রুত বাজার ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আমু জোটের পক্ষে কলম ও কাগজের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।

আমু জানান, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৪ দল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ৬ জুন বিকেলে জনসভা করবে।

আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (একাংশ)-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, গণআজাদী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার ও বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান।

এ বিভাগের আরো খবর