বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চক্রান্ত চলছে: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ জুন, ২০২৩ ২২:০১

সরকারি দলকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতাদের সরিয়ে দিয়ে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠ পাওয়ার সেই আশার গুঁড়ে বালি, সেটা হবে না। এ দেশের মানুষ সেটা কখনোই হতে দেবে না। মানুষ জেগে উঠেছে। যতই অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হোক, জনগণ সবরকম ত্যাগ স্বীকার তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।’

বিরোধী দলের রাজনীতিকদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার মাধ্যমে। উদ্দেশ্য, আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের সরিয়ে দিতে পারলে সরকারি দল নির্বাচনে ফাঁকা মাঠ পেয়ে যাবে।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিকেলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলার রায়ে সাজা প্রদানের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।

সরকারি দলকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতাদের সরিয়ে দিয়ে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠ পাওয়ার সেই আশার গুঁড়ে বালি, সেটা হবে না। এ দেশের মানুষ সেটা কখনোই হতে দেবে না। মানুষ জেগে উঠেছে। যতই অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হোক, জনগণ সবরকম ত্যাগ স্বীকার তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ২৭৫টি মামলা নির্ধারণ করেছে। সেই মামলাগুলোতে দ্রুত সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ ও আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে সাজার রায় তারই প্রথম পদক্ষেপ।’

বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ইকবাল হাসান মাহমুদ ও আমান উল্লাহ আমান এই হাইকোর্ট থেকেই বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। সেই রায় বাতিল করে পুনরায় সে মামলা পুনরুজ্জীবিত করে অতি দ্রুত তাদের আবার সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মোহাম্মদ নাসিম বেকসুর খালাস হয়ে গেছেন।’

‘গরিব মারার বাজেট’

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বাজেটের নামে জনগণের সঙ্গে মশকরা করেছে। এই বাজেটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ। এটা গরিব মারার বাজেট।

‘বাজেটে গরিব মানুষের চাল, ডাল, তেল ও কৃষকের সারের দাম কমানোর কথা নেই। যারা আওয়ামী লীগের লোক, যারা চুরি-ডাকাতি করে টাকা বানিয়েছে তাদের কতটা রেয়াত দেয়া যাবে, কী করে সুবিধা দেয়া যাবে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা ব্যাপারে তাদের মাথা বেশ গরম হয়েছে। বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করছে, এটা নাকি তাদের (সরকার) কোনো সমস্যা না। তাদের যদি সমস্যা না হয় তাহলে এল কেন? যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি দিয়েছে, তা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য মর্যাদাকর নয়।’

সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে, ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে গেছে, আপনাদের সময় শেষ।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার মরণ কামড় দেবে। আর আমরাও মরণ কামড় দেবো তাদের বিদায় করতে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা আসবে।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলন এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানো হচ্ছে।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এ বিভাগের আরো খবর