বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সড়কে চলাচলের নিয়ম শেখাতে নির্মাণ হবে ‘পার্ক’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩ জুন, ২০২৩ ১৯:০১

ডিআরএসপির ম্যানেজার সামনুন সুলতানা বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের মনোভাব পরিবর্তন করা দরকার। রাস্তা খালি আছে, আমরা সিগন্যাল না মেনে পার হয়ে যাই। এটার শুরু করতে হবে বাসা থেকে, স্কুল থেকে। শিক্ষার্থীরা ছোট, ওদের যেভাবে বুঝানো হবে, শেখানো হবে ধীরে ধীরে তারা তাতেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে ‘

শিশুদের জন্য নির্মাণ করা হবে ‘চিলড্রেন পার্ক’, যেখানে হাতে-কলমে শেখানো হবে সড়কে চলাচলের নিয়ম। রাজধানী ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এমন বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে জাইকা। ইতোমধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন শেখানোর কাজ শুরু করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেইফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)’।

শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ডিআরএসপির ম্যানেজার (কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) সামনুন সুলতানা বলেন, ‘শুধু ঢাকা সিটি নয়, বাংলাদেশের কোথাও এমন চিলড্রেন পার্ক নেই। আমরা একটা চিলড্রেন পার্ক করতে চাচ্ছি যেখানে বাচ্চারা যাবে, ট্রাফিকের রুলস-রেগুলেশন সম্পর্কে জানবে।

‘আমরা ছোট পরিসরে শুরু করব, একটা শুরু করলে আরও অনেক করা যাবে। ট্রাফিক সিগন্যাল, জেব্রা ক্রসিং নিয়েও আমরা কাজ করব।’

সবার সহযোগিতা পেলে এটি নিয়ে আরও বড় পরিসরে যাওয়া সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শিশু শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন শেখানোর ওপর জোর দিয়ে সামনুন বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের মনোভাব পরিবর্তন করা দরকার। রাস্তা খালি আছে, আমরা সিগন্যাল না মেনে পার হয়ে যাই। এটার শুরু করতে হবে বাসা থেকে, স্কুল থেকে। শিক্ষার্থীরা ছোট, ওদের যেভাবে বুঝানো হবে, শেখানো হবে ধীরে ধীরে তারা তাতেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এর ফলাফল আমরা হয়ত সঙ্গে সঙ্গে পাব না।

‘আমরা শিশুদের শেখাচ্ছি। ৫-১০ বছর পর সেটার ফলাফল পাব। তারা যখন নিজে ড্রাইভ করবে বা রোড ক্রস করবে, তখন যেন তারা শিক্ষাটা প্রয়োগ করতে পারে।’

এসময় জাপানের ট্রাফিক আইন শিক্ষার উদাহরণ টানেন এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ঠিক এভাবেই শুরু করেছিল জাপান। আজ থেকে ৩৭ বছর আগে জাপানে কিন্তু এত ভালো ট্রাফিক আইন বা রাস্তা ছিল না। অথচ, ট্রাফিক আইন মানায় এখন বিশ্বের অন্যতম দেশ তারা। ওরাও ওদের কার্যক্রম স্কুলপর্যায় থেকে শুরু করেছিল।’

ডিআরএসপি প্রকল্পের এক্সপার্ট টিমের ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার তেতসুশি ইরি (Tetsushi IRIE) বলেন, ‘ডিআরএসপি প্রজেক্টটি একত্রে বাস্তবায়ন করছে ডিএমপি ও জাইকা। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চালক-যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।’

এর আগেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্রোগাম করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। জাইকা রোড সেফটি প্রজেক্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষকে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে তারা কীভাবে সস্পৃক্ত করছে ও সে দেশের মানুষের মনোভাব কীভাবে পরিবর্তন করছে, সেগুলো নিয়ে আরও ২ বছর কাজ করা হবে।

‘তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বাত্মক সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে ডিএমপি’র সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ।’

২০২২ সালের মার্চ থেকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-এর সহযোগিতায় ঢাকা মহানগর এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাধ্যমে ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)’ শীর্ষক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর